ব্রণের সমস্যা? বাড়িতেই আছে দূর করার উপাদান সম্পর্কে, জেনেনিন

ব্রণ সারাতে ভরসা রাখুন ঘরোয়া পদ্ধতির উপর। ব্রণ দূর করতে পুরো মুখে প্যাক লাগিয়েও বসে থাকতে হবে না। শুধু আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করলেই মুক্তি মিলবে। আর উপাদানগুলোও আমাদের ভীষণ পরিচিত। প্রায় সবার বাড়িতেই থাকে এই উপাদানগুলো। চলুন তবে জেসে নেয়া যাক-

মধু: নানারকম ব্যাকটেরিয়া নষ্ট করতে পারে মধু। এক চাচামচ খাঁটি মধুতে অল্প তুলো ডুবিয়ে ব্রণর উপরে লাগিয়ে রেখে দিন। আধ ঘণ্টা পরে ধুয়ে ফেলুন। দিনে বারকয়েক লাগালেই ব্রণর দাপট কমতে বাধ্য!

চন্দন: ব্রণ দূর করতে চন্দনগুঁড়া ব্যবহার করতে পারেন, তবে সেটা যেন খাঁটি হয়। গোলাপজলে বা সাধারণ জলে চন্দনগুঁড়ো গুলে ঘন পেস্টের মতো তৈরি করে তা ব্রণের উপরে লাগিয়ে রাখুন। সঙ্গে সঙ্গে শীতলতার অনুভূতি হবে। এরপর শুকাতে দিন। শুকিয়ে টান ধরলে পরিষ্কার জলে ধুয়ে ফেলুন।

লেবু ও জল: লেবুর ভিটামিন সি ব্রণ কমাতে দারুণ ভালো কাজ করে। দু’টি লেবু চিপে রস বের করে নিন। এই রসে দু’চামচ জল মেশান। মিশ্রণে তুলো ভিজিয়ে ব্রণর উপরে লাগিয়ে দিন। খুব দ্রুত ব্রণ শুকিয়ে যাবে। তবে সেনসিটিভ ত্বক হলে লেবুর রস এড়িয়ে চলাই ভালো, কারণ লেবুর রস থেকে সেনসিটিভ ত্বকে জ্বালা করতে পারে। একান্তই মাখলে মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার আর সানস্ক্রিন লাগিয়ে নেবেন।

তুলসি ও হলুদ: এই দুটি উপাদান দিয়েই বানিয়ে নিন ব্রলের ওষুধ। কাঁচা হলুদ দু’চামচ পরিমাণ বেটে নিন। একইভাবে বিশ-পঁচিশটা তুলসি পাতা ভালো করে ধুয়ে বাটুন। তুলসি পাতা বাটা আর কাঁচা হলুদ বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে ব্রণের উপরে লাগিয়ে রাখুন, শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলবেন। প্রতিদিন বার তিনেক লাগাতে হবে। সারাদিনের জন্য একবারে বানিয়ে কৌটোয় ভরে ফ্রিজে রেখে দিন।

নিমপাতা ও গোলাপজল: নিমপাতা খুবই ভালো অ্যান্টিসেপটিক আর গোলাপজল ত্বক স্নিগ্ধ আর সতেজ রাখে। পাতাসহ গোটা পাঁচেক নিমের ডাল ভেঙে নিন। পাতাগুলো ধুয়ে জলে মিনিট দুয়েক ফোটান। তারপর জল থেকে পাতা তুলে মিক্সিতে বা শিলে বেটে নিন। এবার পাতা বাটায় দুই চাচামচ পরিমাণ গোলাপজল মেশান। এই মিশ্রণটা ব্রণের উপরে লাগিয়ে শুকাতে দিন। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণ দ্রুত শুকাবে, ব্যথাও কমবে।