চুলের ডগা ফাটা রোধে ৫টি বিশেষ উপায় সম্পর্কে জেনেনিন

লম্বা আর সুন্দর চুল অথচ একটু বাড়তে না বাড়তেই ডগা ফেটে যাচ্ছে? একটু আচড়াতেই ভেঙে ভেঙে পড়ে যাচ্ছে আর বারোটা বাজাচ্ছে চুলের সৌন্দর্যের? এমনটা হলে মুশকিল। কারণ নিয়মিত পরিচর্যার অভ্যাস না থাকলে এমনটা চলতেই থাকবে। চলুন জেনে নেয়া যাক এর সমাধানে কিছু করণীয়-

চুলের ডগা ফাটার কারণ:
১. রুক্ষতা
২. চুলে পুষ্টির অভাব
৩. অতিরিক্ত চুল আঁচড়ানো
৪. ময়লা
৫. নিয়মিত চুলের আগা না কাটা
৬. সুষম খাদ্য না খাওয়া।

কী খাবেন:
চুল ফাটার একটি প্রধান কারণ হলো পুষ্টির অভাব। যেহেতু প্রোটিনের অভাবে চুল মলিন হয়ে যায় তাই দুধ, ডিম, মাছ ও মাংস খেতে হবে নিয়মিত এবং পরিমিত পরিমাণে। প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে হবে। কখনো কখনো মিনারেলেরও প্রয়োজন হতে পারে, এজন্য মিনারেল সমৃদ্ধ ভিটামিন যেমন সুপারভিট এম ক্যাপসুল প্রতিদিন একটা করে ২/৩ মাস খেলে উপকার পাওয়া যেতে পারে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল-ও চুলের জন্যে খুব উপকারী। খুব ভালো সমাধান চাইলে এটি ৬ মাস খেয়ে দেখতে পারেন।

জেনে নিন কোন কাজগুলো করলে মুক্তি পাবেন এই সমস্যা থেকে-

১. ভেজা চুল আলতো করে মুছুন। গোসল সেরে মাথায় তোয়ালে না জড়িয়ে পুরনো নরম সুতির জামা বা দোপাট্টা জড়িয়ে নিন। তোয়ালে ভেজা চুল আরও ফ্রিজি করে দেয়।

২. দ্রুত চুল শুকাতে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করেন অনেকেই। কিন্তু এই হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করা থেকে যত দূরে থাকবেন, চুল ততই স্বাস্থ্যোজ্জ্বল থাকবে। একান্তই যদি ব্যবহার করতে হয়, তাহলে সবচেয়ে কম হিটে ড্রায়ার চালান। চুল থেকে অন্তত ৬ ইঞ্চি দুরে রাখুন ড্রায়ারের মুখ।

৩. ঝটপট চুল স্ট্রেট করতে হেয়ার স্ট্রেটনারের ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়। আপনারও যদি সেই অভ্যাস থাকে তবে হেয়ার স্ট্রেটনারের ব্যবহার কমান। একান্তই ব্যবহার করতে হলে তার আগে চুলে প্রোটেক্টিং সেরাম বা স্প্রে লাগিয়ে নিন।

৪. চুলের কন্ডিশনিং কিন্তু মাস্ট। শ্যাম্পু করার আগে নারিকেল তেল গরম করে স্ক্যাল্পসহ সারা চুলে লাগান। আধঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে নিন। শ্যাম্পু শেষে আপনার চুলের প্রকৃতি অনুযায়ী কন্ডিশনার লাগাতে ভুলবেন না।

৫. ছয় মাস অন্তর চুলের ডগা ট্রিম করে নিন। এতে চুলের আগা ফাটা বন্ধ হবে, চুল দ্রুত বাড়বেও।