ভাতের মাড় দিয়েই নিন চুলের যত্ন জেনেনিন এর কারণ সম্পর্কে

ভাত রান্নার পর মাড় ফেলে দেয়ার অভ্যাস প্রায় সবারই। না, মাড় খেলে তা শরীরের কতটা উপকার করে সেকথা আজ বলবো না। তবে মাড় ব্যবহার করে কীভাবে চুলের সৌন্দর্য বাড়ানো যায় তা জানতে পারবেন। চুলের যত্নে মাড় ব্যবহার করলে ফল মিলবে ম্যাজিকের মতো। এমনটাই জানাচ্ছে এই সময়।

ভাতের মাড় ফেলে না দিয়ে আজ থেকে তা কাজে লাগান। চুলের যত্নের জন্য ফ্যান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যারা খুশকির সমস্যায় ভুগছেন, তারা প্রতিদিন মাড় দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। সপ্তাহখানেক মাড় ব্যবহার করলেই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। এছাড়াও মাড়ের সঙ্গে অ্যাভোকাডো দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করতে পারেন। সুন্দর চুল পেতে ওই মিশ্রণ অবশ্যই কাজে লাগান।

কীভাবে ব্যবহার করবেন
স্নান করার সময় সবার আগে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এর পরে, ওই ভাতের মাড় ভালো করে ম্যাসাজ করুন। ১০- ১৫ মিনিট পর্যন্ত রেখে দিন। এরপর জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এইভাবে সপ্তাহে কমপক্ষে এক থেকে দুইবার ব্যবহার করুন। কয়েক মাসের মধ্যে আপনি নিজের ফলাফল পাবেন।

ভাতের মাড়ে কার্বোহাইড্রেট অর্থাৎ ইনোসিটল থাকে যা চুলের ঘর্ষণকে হ্রাস করে গোড়া থেকে শক্তিশালী করে তোলে। এছাড়া এতে অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যার কারণে চুল চকচকে করে তোলে। এর পাশাপাশি নমনীয়ও হয়ে ওঠে।

চুলের পাশপাশি ত্বকের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই ফ্যান। ভাতের মাড় ঠান্ডা করে তুলা দিয়ে মুখের ও হাত-পায়ের রোদে পোড়া অংশে নিয়মিত মাখতে পারলে বাড়বে ত্বকের জেল্লা। এই পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন নিতে পারলে ত্বক থাকবে সতেজ, বজায় থাকবে ত্বকের আর্দ্রতা। এছাড়াও ত্বকের হাইপার পিগমেন্টেশন আর ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া ঠেকাতে ভাতের মাড় অত্যন্ত কার্যকরী।