যে প্রশ্নগুলো আপনার সঙ্গীকে কখনোই করবেন না! কারণ জেনেনিন

আপনি যখন কোনো সম্পর্কে যুক্ত হন, তখন সঙ্গীর সঙ্গে খোলামেলা ও বিনা দ্বিধায় কথা বলা উচিত। কারণ এগুলোই সম্পর্কের ভিত্তি শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। তবে, কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা থেকে বিরত থাকাই আপনাদের সম্পর্কের জন্য ভালো।

প্রিয় মানুষটি বিব্রত হতে পারেন, বিশেষ করে তার আগের সম্পর্ক নিয়ে কোনো কিছু জানতে চাইলে হিসাব করেই কথা বলা প্রয়োজন। এছাড়াও আরও কিছু বিষয় রয়েছে যে প্রশ্ন করার আগে দু’বার ভাবতে হবে।

জেনে নিন:
আমাকে সত্য বলছো তো?
এই প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করা আপনার সম্পর্কের পক্ষে ভালো করার চেয়ে বেশি ক্ষতি করতে পারে। প্রথমত, এটি ইঙ্গিত দেয় যে আপনি সম্ভবত নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন এবং সম্পর্কের ক্ষেত্রে আস্থার কমতি রয়েছে। দ্বিতীয়ত, সঙ্গীর উত্তরের ওপর আপনি বিশ্বাস রাখতে পারবেন, এটাও বোঝা যাচ্ছে না। বরং এখানে একটা ছোট লড়াই শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সব সময় কেন ভুল করো!
মনে রাখবেন, কোনো কিছু আপনার পছন্দমতো না হলেই সঙ্গীর ওপর দোষ চাপিয়ে দেবেন না। দোষ দেয়ার প্রবণতা আপনার সম্পর্কের জন্য সত্যিই ক্ষতিকর। এতে করে তাকে অপমান করা হয়।

কে বেশি ভালো প্রাক্তন না আমি?
ভালোবাসার সম্পর্কে এটা অনেকেই জানতে চান। উত্তর হিসেবে অবশ্যই আশা করেন আপনার কথাই তিনি বলবেন। কিন্তু নিজেকে কারও সঙ্গে তুলনা করা, বিশেষ করে আপনার সঙ্গীর প্রাক্তন প্রেমিক বা প্রেমিকার সঙ্গে, এতে করে নিজেকেই ছোট করছেন না তো? এই প্রশ্নের জবাব দিতে তিনি নিশ্চয় অস্বস্তিবোধ করবেন।

জীবনের সেরা সময়টি কার সঙ্গে কেটেছে?
আপনার সঙ্গীর অতীতকে আবার আনার চেষ্টা করছেন এই প্রশ্নের মাধ্যমে? তিনি যদি বলেন প্রাক্তনের সঙ্গে কাটানো সময়টাই সেরা ছিল। তখন আপনার আবেগ সামলাতে পারবেন?

সে কি ভালোবাসে!

মুখে বারবার বলার চেয়ে ভালোবাসা অনুভব করা গুরুত্বপূর্ণ। আর আপনি যদি মনে করেন তিনি আপনাকে ভালোবাসেন না, তাহলে সঙ্গীকে হঠাৎ করে এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার পরিবর্তে আপনার নিজের অনুভূতি এবং সম্পর্কটি যৌক্তিকভাবে চিন্তা করার জন্য সময় নিন। তারপরে আপনার সঙ্গীর সামনে এই বিষয়টি তুলে ধরার জন্য একটি সঠিক সময় ও সুযোগের সন্ধান করুন। যদি তিনি উত্তরটি এড়িয়ে যেতে চান, তবে তাকে বুঝিয়ে বলুন, আপনার মনের অবস্থা। তিনি হয়ত বুঝবেন।

একবার চিন্তা করুন তো, আপনি কি পছন্দ করবেন যদি আপনার সঙ্গী আপনাকে এই প্রশ্নগুলো আপনাকে জিজ্ঞাসা করেন? তখন আপনিও বিব্রত হবেন। এজন্য সম্পর্কে ভালো থাকতে ও সঙ্গীর সঙ্গে ভালোবাসা, বিশ্বাস ও আস্থার সম্পর্ক তৈরি করতে নেতিবাচক প্রশ্নগুলো এড়িয়ে চলুন।