ওজন কমাতে গিয়ে অনেকেই পাত থেকে ভাত সরিয়েছেন। অনেকেই আবার মুড়ি-চিড়া খাওয়াও বন্ধ করেছেন! তবে মুড়ি-চিড়া খেলেও কি ওজন বাড়ে? উত্তর হলো, না।
কারণ ভাতের তুলনায় মুড়ি-চিড়ায় ক্যালোরি অনেক কম থাকে। তাই খিদে লাগলে মুড়ি-চিড়া খেতেই পারেন। এতে ওজন বাড়বে না বরং কমবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক মুড়ি-চিড়া খেলে শরীরে কী ঘটে-
মুড়ি খাওয়ার উপকারিতা
>> মুড়ি খেলে ওজন বাড়ে না। তাই সকাল বা বিকেলে আপনি যত খুশি মুড়ি খেতে পারেন।
>> মুড়িতে ক্যালরি কম থাকে। তাই এটি খেলে ওজন বাড়ে না।
>> এতে সোডিয়ামের মাত্রা খুব কম থাকে। তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
>> মুড়িতে থাকে ভিটামিন বি ও অনেক খনিজ উপাদান। তাই এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
>> ক্যালসিয়াম আর আয়রন থাকায় মুড়ি খেলে হাড় ও দাঁত শক্ত হয়।
>> নিয়মিত যারা পেটের অসুখে ভুগেন, মুড়ি ভেজানো জল খেলে তাদের পেট ঠান্ডা হবে। মুড়ি ভেজানো জল খেলে পেটের নানা অসুখ সারে।
>> অ্যাসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাতেও মুড়ি খুব উপকারী। শুকনো মুড়ি খেয়ে এক গ্লাস জল খেলেই গ্যাস্ট্রিক সেরে যায়। চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন, বিকেলের নাস্তায় ভাজাপোড়া না খেয়ে মুড়ি মাখানো খেতে পারেন।
>> গবেষণায় দেখা গেছে, মস্তিষ্কে যে নিউরোট্রান্সমিটার আছে মুড়ি খেলে সেগুলো উজ্জীবিত হয়। এ কারণে মুড়ি খেলে মেজাজ পরিবর্তন কম হয় ও মস্তিষ্ক দ্রুত কাজ করে!
চিড়া খাওয়ার উপকারিতা
>> চিড়ায় যদিও ফাইবার খুব বেশি থাকে না। তাই এটি পেটের রোগ যেমন কোলাইটিস ও ডায়রিয়া রোধ করে।
>> চিড়া পেট ঠান্ডা রাখে। তাই গরমে অনেকেই দুধ বা দই দিয়ে চিড়া খান।
>> চাল থাকা প্রোলামিন ও গ্লুটেলিন শরীরের জন্য খুব একটা ভালো নয়। অন্যদিকে চাল থেকে চিড়া প্রস্তুত করা হলে এই পদার্থ দু’টি চলে যায়। তাই চিড়া খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো।
>> চিড়ায় সোডিয়াম ও পটাসিয়াম, দু’টোই কম থাকে। তাই এটি কিডনিতে প্রভাব ফেলে না।