আপনার কি মন ভালো নেই? তাহলে বুঝবেন যেসব লক্ষণে, জেনেনিন

শরীর ভালো রাখতে আমরা কত নিয়মই না মেনে চলি! নিয়ম করে ওষুধ খাওয়া, ডায়েট ও শরীরচর্চা সবই করা হয়! তবে মন ভালো রাখতে বিশেষ কিছু করা হয় কি?

আসলে কার মন কতটা ভালো আছে তা কারও মুখ দেখে সব সময় অনুমান করা সম্ভব নয়। কারণ সবার মনেই অন্যরকম গল্প থাকে। যা ওই ব্যক্তি ছাড়া হয়তো অন্য কেউই জানেন না! এমনকি পরিবারের ঘনিষ্ঠজনরাও জানতে পারেন।

কারণ এমন ব্যক্তিরা নিজের মনের ভেতর দুঃখ বা খারাপ লাগা নিরবেই সহ্য করে যান। বিশ্বাস করে কারও কাছে তা বলতেও পারেন না। আর এভাবেই নিজের মনের সঙ্গে যুদ্ধ করে এগিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। তবে এভাবে কতদিন নিজেকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব?

শরীরের সুস্থতার মতো মনকেও ভালো রাখা জরুরি। তবে পারিবারিক বা ব্যক্তিগত অনেক বিষয়ই মান সম্মানের নষ্ট হওয়ার ভয়ে মনেই লুকিয়ে রাখতে হয়। আর এতে মন খারাপ থাকে সব সময়। অনেক সময় আমাদের কাছের মানুষরাও মন খারাপের বিষয়টি বুঝতে পারেন না।

এমনকি নির্দিষ্ট ওই ব্যক্তিও নিজের মন খারাপের বিষয়েও অবগত থাকেন না। কারণ তিনি অজান্তেই মনের মধ্যে বিশাল এক ভার বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছেন হাসি মুখেই। তবে কিছু লক্ষণ দেখে বুঝে নিতে পারবেন আদৌ আপনার মন ভালো আছে কি না কিংবা আপনি সত্যিই খারাপ আছেন-

অতীত নিয়ে বাঁচা
অতীতের দিন সবারই মনে পড়ে। কারণ স্মৃতির পাতা থেকে অতীতকে কখনও মুছে ফেলা যায় না! তবে অতীত আঁকড়ে বাঁচতে চাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়। তবে আপনি কি এখনও অতীতের কোনো ঘটনা ভেবে দুশ্চিন্তা করছেন?

আর তাই হয়তো সব কিছুর থেকে আপনি নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চাইছেন? যদি এমন মানসিকতা আপনার মধ্যে থাকে তাহলে ধরে নিতে হবে আপনি ভালো নেই।

সব কিছুতেই বিরক্তির ছাপ
ক্লান্ত হলে কিংবা কাজের চাপ থাকলে আপনি বিরক্তবোধ করতেই পারেন! তবে যখন তখন বিরক্ত হয়ে যাওয়া এটিও কিন্তু মন খারাপের লক্ষণ।

যদি আপনি কোনো বিষয়ে বারবার ভেবেই চলেন তাহলে অন্যান্য কাজে আপনি মনোযোগ হারাবেন। তাই মাথায় রাখুন নিজের পরিচয় কিন্তু নিজেকেই তৈরি করে নিতে হবে।

লাগামহীন জীবনযাত্রা
বেপরোয়া জীবন যাপন করা মোটেও কারও কাম্য নয়। এজন্যই সবাইকে ভাবতে হয়, কে কী ভাববেন? তবে আপনার মধ্যে যদি এ ভাবনা না থাকে তাহলে বুঝতে হবে আপনি মানসিকভাবে ভালো নেই।

আপনি যদি কোনো ভালো কাজ করেন বা উন্নতি করেন তাহলে সবাইকে পাশে পাবেন। আর যদি খারাপ পথ বেছে নেন তাহলে পরিবার-প্রিয়জন সবাইকেই হারাবেন। তাই অতীত আঁকড়ে নিজেকে ভুল পথে না নিয়ে বরং নিজের জন্য ভাবুন।

অন্যকে ভালো রাখার তাগিদ
অনেকেই আছেন যারা প্রিয়জনের বাধ্য হয়ে বেঁচে থাকেন। যদি সংসার ভেঙে যায় কিংবা যদি সঙ্গী ভুল বোঝে এসব ভেবে প্রিয়জনের হ্যাঁ’তে সম্মতি জানান ও না’তে থেমে যান।

সংসারের কথা ভেবে অনেকেই এমনটি করলেও মনে কোণে আফসোস ও ক্ষোভ বেড়ে যায়। আর এ নিয়ে মন খারাপ বাড়তেই থাকে। যা প্রিয়জনও বুঝতে পারেন না বা বোঝার চেষ্টাও করেন না। তবে মনে রাখবেন, অন্যকে ভালো রাখতে গিয়ে নিজের জীবনের ভালো মুহূর্ত, ভালো সময় হারাবেন না। তখন আর কিছুই করার থাকবে না। তাই নিজের মতো করে বাঁচতে শিখুন।

নিজের প্রতি অবিশ্বাস
নিজেকে ভালো রাখতে হলে আগে বিশ্বাস আনুন নিজের প্রতি। আমার দ্বারা এটি সম্ভব নয়- এমন ভাবনা মনে আনবেন না।

আগে থেকে নেতিবাচক চিন্তু করা বোকামি। এর ফলে ব্যর্থতা, উদ্বিগ্ন মন আপনাকে চেপে ধরে। এসব থেকে বেরিয়ে আসলে সুখে থাকবেন।