আমলকি পরিচিত একটি ফল। এর স্বাদ একটু ব্যতিক্রম ধরণের, অন্য ফলের সঙ্গে মেলে না। প্রথম টক স্বাদের মনে হলেও খাওয়ার পরে এক ঢোক জল পান করলে দেখবেন কী দারুণ মিষ্টি স্বাদ! এদিকে শরীরে ভিটামিন সি এর ঘাটতি মেটাতে আমলকি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন আমলকি।
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর আমলকি শরীরের টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। অনেক রোগের ওষুধ হিসেবে কাজ করে এই আমলকি। তবে আমলকি খেতে হবে কাঁচা বা রস করে। রান্না করা আমলকিতে সঠিক পুষ্টি মিলবে না। আনন্দবাজার পত্রিকা প্রকাশ করেছে আমলকির কিছু উপকারিতার কথা-
* সর্দি-কাশির সমস্যা এখন খুব পরিচিত। এই ধরনের অসুখে কাজে লাগে আমলকি। দীর্ঘমেয়াদি সর্দি, কাশি, গলাব্যথা, জ্বরের সমস্যার পথ্য হিসেবেও আমলকি বেশ কার্যকরী। টিউবারকিউলোসিস (টিবি) রোগ থেকেও সুরক্ষা দেয় এটি।
* ব্রঙ্কাইটিস কিংবা অ্যাজমার সমস্যায় ভুগছেন? এর থেকে মুক্তি পেতে আমলকি খান নিয়মিত।
* ক্যান্সার থেকে দূরে থাকতে আমলকি খান প্রতিদিন। আমলকিতে পলিফেনল থাকায় তা ক্যান্সারাস কোষের বৃদ্ধিতেও বাধা দেয়।
* নিয়মিত আমলকি খেলে লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ে। পেটের সমস্যা ও বদহজম দূরে রাখতেও সাহায্য করে এই ফল।
* উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। নিয়মিত আমলকি খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে অনেকটাই।
* ওজন কমাতে চাইলে আমলকির সাহায্য নিন। আমলকির ফাইবার শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে। এদিকে মুখের আলসার বা দাঁতের ক্ষত সারাতেও জুড়ি নেই আমলকির।
* আমলকিতে থাকা ক্রোমিয়াম শরীরের ইনসুলিন উৎপাদনে সাহায্য করে, সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে। বয়স্কদের জন্যও খুব উপকারী। এতে ক্যারোটিন থাকায় দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ছানি পড়া, চোখে চুলকানি বা জল পড়ার সমস্যা থেকেও রেহাই দেয়।
* আমলকির রস স্ক্যাল্পে রক্তসঞ্চালন ঘটিয়ে চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে। তাই চুল ভালো রাখতে আমলকির ব্যবহার করতে পারেন।
* মুখে বয়সের ছাপ পড়ে যাচ্ছে? বয়স ধরে রাখতে চাইলে আমলকি খান নিয়মিত। আমলকিতে অ্যান্টিএজিং উপাদান রয়েছে, যা বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করে।