জাপানিদের ত্বক দেখলে নিশ্চয়ই আফসোস হয়! তাদের সবার ত্বকই দাগহীন, ফর্সা ও কোমল। এমনকি তাদের ত্বক এতোটাই মসৃণ এবং টানটান যে, বয়স্কদেরকে দেখলেও কিশোরী মনে হয়।
এজন্য অবশ্য বিশেষ নিয়ম-কানুন মেনে ত্বকের যত্ন নিয়ে থাকেন তারা। জানলে অবাক হবেন, জাপানিরা কেমিকেলযুক্ত প্রসাধনী নয় বরং প্রাকৃতিক উপাদান দিয়েই ত্বকের যত্ন নেন।
বাঙালি মানেই ভাত পাগল। একদিন ভাত না খেলে কারো দিন ভালো কাটে না। তাই সবার ঘরেই প্রতিদিন ভাত রান্না হয়ে থাকে। জানেন কি, ভাত ব্যবহারেই ত্বক হতে পারে ফর্সা ও দাগহীন।
চালে ও ভাতে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রেখে ত্বককে ফর্সা ও দাগহীন করতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমায়। ভাত দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক মুখের বড় লোমকূপের সমস্যাও দূর করে।
চালে ফেরিউলিক অ্যাসিড থাকে। এটি একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ত্বককে ফ্রি র্যাডিকেলের হাত থেকে রক্ষা করে। ত্বকের মৃত কোষ দূর করে নতুন কোষ উৎপাদনে সাহায্য করে ভাতে থাকা পুষ্টিগুণ। এ ছাড়াও ত্বকের রক্ত প্রবাহকে উন্নত করে রাইস ফেস ক্রিম। এটি অ্যান্টি-এজিং হিসেবে কাজ করে, ফলে বয়সের ছাপ পড়ে না মুখে। শুধু ত্বক নয় চুলের জন্যও ভাত, চালের জল, ভাতের মাড় এসব উপাদান খুবই উপকারী। এবার তবে জেনে নিন ভাত দিয়ে হোয়াইটেনিং ক্রিম তৈরি করবেন যেভাবে-
রাইস জেল ক্রিম মাস্ক
একটি ছোট বাটিতে ২ টেবিল চামচ চাল জলে ভিজিয়ে রাখুন। ৫-১০ মিনিট পর চালগুলো ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার একটি প্যানে সামান্য জল দিয়ে চালগুলো সেদ্ধ করে নিতে হবে।
ভাতগুলো যেন অনেকটা নরম হয়; তাহলে চামচ দিয়েই ব্লেন্ড করে নিতে পারবেন। তা না হলে ব্লেন্ডার ব্যবহার করতে হবে। ভাত ব্লেন্ড করার পর অ্যালোভেরা জেলে মিশিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল রাইস জেল ক্রিম মাস্ক।
এবার একটি কটন প্যাড দিয়ে মুখে ব্যবহার করুন এ ক্রিম। ১০-১৫ মিনিট মুখে রেখে এরপর ধুয়ে ফেলুন। এ রাইস জেল ক্রিম ব্যবহারের ফলে ত্বকের মৃত কোষ দূর হবে। ফলে প্রাকৃতিকভাবেই ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল।