চুল ঝরে যাওয়া আজকের দিনে একটি জ্বলন্ত সমস্যা। শুধু মহিলারাই নন, নারী পুরুষ নির্বিশেষেরই ঝরছে চুল। বাজার চলতি হেয়ার কেয়ারের নানারকম বিউটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করেও কোনওরকম চুলের পতন আটকাতে পারছেন না। অফিস থেকে ফেরার পথে মাঝে মাঝে স্পা করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। পার্লার থেকে বেরিয়ে দুএকদিন ঠিক থাকর পর ফের চিরুনিতে চুল। সুন্দর পোষাকের সঙ্গে চুলকে ঠিক করতে গেলেই বিপদ। চওড়া সিঁথি যেন মুখ ভেংচে পরিহাস করছে। এনিয়ে আর যাইহোক স্টাইল চলে না। তবে দূষণকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসও এরজন্যে বেশ খানিকটা দায়ি। প্রতিদিনের ডায়েটে কিছুটা বদল এলে এহেন পরিস্থিতিরও রদবদল হতে পারে। প্রিয় চুলের ঝরা রুখতে ডায়েটে কী কী খাবার রাখবেন, চলুন একবার দেখে নিই।
লম্বা ও ঘন চুল যদি রেখে দিতে চান, তাহলে আঙুর ফল রাখুন প্রতিদিনের ডায়েটে। আঙুর ফলে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। সঙ্গে ভিটামিন সি। যা অবাধে চুল পড়া, চুলের ডগা ফেটে যাওয়া রোধ করতে দারুণভাবে সহায়তা করে। চুলকে ভাল রাখতে চাইলে আঙুর খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। শরীর সুস্থ ও তরতাজা রাখতে শাক সবজির জুড়ি মেলা ভার। যত বেশি সবজি খাবেন। ততবেশি শরীর ভাল থাকবে। নানারকম রোগের উপসর্গ যেমন কমবে তেমনই চুলকে গোড়া থেক মজবুত করবে। এই তালিকায় একেবারে সর্বাগ্রে রয়েছে পালংশাক। পালংশাকের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন এ ও সি রয়েছে। আয়রন যেমন চুলকে গোড়া থেকে মজবুত করে। তেমনই ভিটামিন এ ও সি চুলের বৃ্দ্ধিতে সহায়তা করে। পালংশাক খেলে প্রাকৃতিক সিরাম চুলের গোড়ায় পৌঁছায় যা চুলের গোড়াকে সুরক্ষিত করে।
অ্যাভোকাডো হল শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ফ্যাটের অন্যতম উৎস। ফ্যাটের পাশাপাশি ভিটামিন ই-ও রয়েছে অ্যাভোকাডোতে। যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করার পাশাপাশি স্ক্যাল্পকেও সুরক্ষিত করে। সংক্রমণ থেকে বাঁচায়। যারফলে চুল ঝরা যেমন কমে যায়। তেমনই চুলের স্বাস্থ্যও বজায় থাকে। শরীরে যদি ভিটামিন বি-এর ঘাটতি থাকে তাহলে চুল ঝরা অবশ্যম্ভাবী। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে চাইলে নাটস খেতে পারেন। ড্রাই ফ্রুটসের মধ্যে আমন্ড ও কাজুতে রয়েছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন। ব্যাগে রাখুন ড্রাই ফ্রুটস। সারা দিনে টুকটাক করে খেতে পারেন। বিভিন্ন শষ্যদানার গুঁড়োর মিশ্রন নিয়মিত খেলে চুল যেমন স্বাস্থ্যবান হবে। তেমনই শরীরও তরতাজা থাকবে। তাই চুলকে স্টাইলিশ রাখতে গেলে এই খাবার গুলি ডায়েটে রাখুন। হেলদি থাকুন।