ব্লিচ করার সব থেকে বড় সুবিধে হল ইনস্ট্যান্ট গ্লো। তা ছাড়া ব্লিচ করালে ত্বকের যে আনইভেন স্কিন টোন রয়েছে সেটাও ঢাকা পড়ে যায়। এছাড়া যাদের মুখে লোম বেশি তারাও মুখের সৌন্দর্য বাড়তে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্লিচ করে নেয়। তবে পার্লারে গিয়ে ব্লিচ করালে যেমন পকেট পুড়বে তেমন আবার বাড়িতে ব্লিচ করলে ত্বকে অ্যাল্যার্জি ও র্যাশের মতো সমস্যাও হতে পারে। ব্লিচ করার সময় বেশ কিছু ভুল করলে সাধারণত এই সমস্যাগুলি দেখা দেয়।
এই নিয়ে তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করেছেন স্কিন ও হেয়ার এক্সপার্ট ডাঃ রশ্মি। তাই কেউ প্রথমবার ব্লিচ করলে কিংবা ঘণ ঘণ ব্লিচ করার অভ্যেস রয়েছে এমন, প্রত্যেকেই ব্লিচ করার সময় এই সব নিয়ম মেনে চললে উপকার পাবেন। যেমন-
ত্বকের হাইড্রেশনের দিকে নজর দিতে হবে
হাইড্রেশনের অভাব থাকলে ত্বকে ব্লিচের প্রভাব বেশি হয়। এর ফলে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে । তাই ত্বক যদি ঠিকমতো ব্লিচ বা হাইড্রেটেড না হয় তা হলে ব্লিচ না করাই ভাল। ব্লিচ লাগানোর প্রথম ধাপই হল ত্বকে ভাল করে ময়শ্চারাইজ লাগিয়ে রেখে দেওয়া যাতে ত্বক ময়শ্চারাইজার শুষে নিতে পারে।
ঠাণ্ডা জল দিয়ে ত্বক ধুয়ে নিন
ময়শ্চারাইজার লাগানো পর যদি মনে হয় ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়ে গেছে তা হলে শুধু জল দিয়ে মুখে ধুয়ে নিন ভুলেও ফেস ওয়াশ ব্যবহার করবেন না। ফেস ওয়াশ ব্যবহার করলে ত্বক নিজস্ব আর্দ্রতা হারাবে।
ব্লিচ শুধুনাত্র ৫ থেকে ৭ মিনিট পর্যন্ত রাখবেন
প্রয়োজনের তুলনায় ব্লিচ বেশিক্ষণ মুখে লাগিয়ে রাখবেন না। এই ভুলটা অনেকেই করেন আর এর ফলে স্কিন বেরিয়ার প্রভাবিত হয়। মুখে ৫ থেকে ৭ মিনিটের বেশি ব্লিচ লাগিয়ে রাখা উচিত নয়। পাশাপাশি প্রোডাক্টের লেবেলে লেখা নির্দেশগুলি অক্ষরে অক্ষরে পালন করুন। এতে উপকার হবে।
ব্লিচ করার পরেও ঠাণ্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন
ব্লিচ সরানোর সময় জোরে জোরে ডলবেন না বরং ঠাণ্ডা জলের ঝাপটা দিন। তবে এটাও যেন জোরে না হয়। বরং টিসু পেপার দিয়ে মুছে নিতে পারেন কিংবা নরম কোনও কাপড় দিয়েও পরিষ্কার করতে পারেন। এরপর ঠাণ্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে। মুখ আলতো হাতে মুছে শুকিয়ে নিন।
সান প্রোটেকশন
যে দিন ব্লিচ করবেন সে দিন রোদে বেরোবেন না। এছাড়া যখনই রোদে যাবেন তখন অবশ্যই সানস্ক্রিন লাগিয়ে যাবে। পাশাপাশি ত্বক যেন সবসময় আর্দ্র থাকে সেদিকেও নজর রাখতে হবে।