গরমকালে বাড়ির বাইরে বেরোনো মানেই একদিকে কড়া রোদ অন্যদিকে পরিবেশ দূষণের কবলে পড়ে ত্বকের অবস্থা খারাপ হয়ে যাওয়া। এই আনইভেন স্কিন টোনের সমস্যা গরমকালে প্রায় প্রত্যেকরই। আর এর থেকে রেহাই পেতে ও ত্বকের হারানো জৌলুস ফিরে পেতে হয় বাজার থেকে কড়া রাসায়নিক যুক্ত নামী দামী স্কিন হোয়াইটনিং ক্রিম মাখা কিংবা পার্লারে যাওয়া। দু’ক্ষেত্রেই টান পড়তে পারে পকেটে। এদিকে রাসায়নিক যুক্ত ক্রিম মেখে ত্বকের ক্ষতি পারে। তাই খরচের পথে পা না বাড়িয়ে বরং বাড়িতেই খুব সহজে মাত্র ১৫ মিনিটেই ত্বকের এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন। কীভাবে জেনে নিন-
রোদে পোড়া ত্বক ও আনইভেন স্কিন টোন সারাতে ভীষণ কার্যকরী বেসন, টক দই ও মধুর তৈরি এই ফেস প্যাক।
এই প্যাক বানাতে এই ৪টি উপকরণ এই পরিমাণে নিয়ে নিন-
উপাদান-
- ২ চা চামচ বেসন
- ২ টেবিল চামচ টক দই
- ১ টেবিল চামচ মধু
- ১ চা চামচ গোলাপ জল
এভাবে ফেসপ্যাক তৈরি করুন প্রথমে একটি পাত্রে বেসন নিন। এবার এতে টক দই,মধু ও গোলাপ জল ঢেলে ভালো করে মিশিয়ে নিন। ব্যস আপনার ফেস প্যাক তৈরি।
ব্যবহারের পদ্ধতি- মুখের পাশাপাশি শরীরের বাদবাকি রোদে পোড়া অংশে এই প্যাক লাগিয়ে নিতে পারেন।
প্যাক লাগানোর আগে প্রথমে একটি ক্লেনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন।
মুখ ভাল করে মুছে এবার মুখে, গলায় ও ঘাড় সহ শরীরের অন্যান্য অংশে লাগিয়ে নিন। এই ফেস প্যাক 15 মিনিট রেখে দিন।
এর পর এই অল্প শুকিয়ে গেলে প্রায় 5-7 মিনিটের জন্য আলতো হাতে প্যাক লাগানো অংশগুলো ডলে নিন।
এরপর জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নরম তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিন।
দেখবেন নিমেষেই ফিরে এসেছে ত্বকের হারানো জৌলুস। ভাল ফল পেতে সপ্তাহে দুবার এই ফেস প্যাক লাগাতে পারেন।
এই ফেস প্যাকের উপকারিতা
- বেসন: এটা শুধু মুখের ট্যানিং দূর করে না, ত্বককে টানটানও করে। এটি সূক্ষ্ম রেখা এবং বলিরেখার মতো বার্ধক্যের লক্ষণগুলি কমাতে সাহায্য করে এবং ব্রণের কারণে মুখে যে লালচে ভাব দেখা যায় তার থেকে মুক্তি দেয়। এটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ত্বকে উজ্জ্বলতা আনে।
- টক দই: এর ক্রিমি টেক্সচার ত্বকের আর্দ্রতা লক করতে সাহায্য করে ও ত্বক উজ্জ্বল করে। এটি অসম বা আনইভেন স্কিন টোনের জন্য খুব কার্যকর। ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
- মধু: মধুর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যগুলি নিস্তেজ, অসম ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। মধুর পুষ্টিকর উপাদান ত্বকের নানা সমস্যা যেমন দাগ, ব্রণ এবং বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের ছিদ্রে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে। শুধু তাই নয় ত্বকের নিরাময় প্রক্রিয়াকে বাড়িয়ে তোলে। পাশাপাশি এক্সফোলিয়েশনের কাজও ভাল করে।
- গোলাপজল: গোলাপজল ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে। ত্বকের লালচে ভাব কম করে এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ত্বক সতেজ রাখে এবং বার্ধক্যের লক্ষণগুলির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।