পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ কাঁচা কাঁঠালের তৈরি খাবার খেতে দারুণ সুস্বাদু হয়ে থাকে। বাজারেও এখন কাঁচা কাঁঠাল খুব সহজেই পাওয়া যাবে। কাঁচা কাঁঠাল এঁচোড় নামেও পরিচিত। অনেকেরই মতে, মাংসের চাইতেও এঁচোড় খেতে বেশি মজা।
তবে সমস্যা হচ্ছে কাঁচা কাঁঠাল কাটা নিয়ে। অনেক আঠালো থাকায় অনেকেই কাঁচা কাঁঠাল কাটার ভয়ে খেতে পারেন না। তাছাড়া মৌসুমি ফল হওয়ায় বছরের যে কোনো সময় এঁচোড় খাওয়াও সম্ভব হয় না। তবে সঠিক কৌশলটি জানলে আপনার এঁচোড় কাটা নিয়ে কোনো ভয় থাকবেনা। আর না বছরজুড়ে এর স্বাদ গ্রহণ থেকে আপনি বঞ্চিত হবেন। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কাঁচা কাঁঠাল কাটা ও বছরজুড়ে সংরক্ষণের কৌশলটি-
কাঁচা কাঁঠাল কাটার পদ্ধতি
প্রথমে ছুরি বা বটিতে তেল মাখিয়ে নিন। দুই হাতেও ভালোভাবে তেল মাখিয়ে নিন। তারপর কাঁঠালটিকে চারভাগ করে নিন। তারপর একটি পাতলা কাপড় কিংবা জালির সাহায্যে কাঁঠালের উপর থেকে আঠাগুলো মুছে নিন। এবার ভেতরের মোটা অংশটি কেটে বাদ দিয়ে দিন। ইচ্ছে করলে কাঁঠালের টুকরোগুলো আরো ছোট করে নিতে পারেন। এতে খোসা ছাড়াতে সুবিধা হবে। টুকরো থেকে খোসা একটু মোটা করে কেটে ফেলুন। সবগুলো বড় টুকরোর খোসা ছাড়ানো হয়ে গেলে পছন্দমতো ছোট ছোট আকৃতির টুকরো করে নিন। কাঁঠালের বিচি থেকেও খোসা ছাড়িয়ে নিন। ব্যস, এই পদ্ধতিতে হাতে কোনো রকম আঠা না লেগেই আপনার কাঁঠাল কাটা হয়ে যাবে।
কাঁচা কাঁঠাল সংরক্ষণ পদ্ধতি
কাঁচা কাঁঠাল ভালোভাবে কাটা হয়ে গেলে সেগুলো না ধুয়ে একটি পলিথিন কিংবা এয়ারটাইট ব্যাগে রেখে মুখ বন্ধ করে দিন। মনে রাখবেন, সংরক্ষণের জন্য যে কাঁঠাল রাখা হবে তা মোটেও ধয়া যাবে না। এতে কাঁঠালের স্বাদ নষ্ট হয়ে যাবে, তাছাড়া কাঁঠালে জল ঢুকে যাবে। এবার এই কাঁঠালের টুকরোভর্তি ব্যাগটি ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। আর বছরজুড়ে যখন খুশি তখন কাঁচা কাঁঠাল বা এঁচোড়ের স্বাদ নিন।
তাছাড়াও আপনি কাঁঠালের টুকরোগুলো পরিমাণ মতো জলে সামান্য লবণ ও হলুদ দিয়ে হালকা সিদ্ধ করে নিতে পারেন। তারপর জল ছেঁকে এয়ারটাইট ব্যাগে নিয়ে ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন।।