গ্লুকোমিটারের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে কতটুকু জানেন আপনি?

বেশিরভাগ ডায়াবেটিস রোগীর ঘরেই গ্লুকোমিটার থাকে। ছোট্ট এই মেশিন দিয়ে ঘরেই খুব সহজে পরিমাপ করা যায়, রক্তে শর্করা বা চিনির পরিমাণ কতটুকু। প্রতিদিন ওষুধের দোকানে কিংবা হাসপাতালে গিয়ে এটি পরিমাপ করা সম্ভব হয় না। তাই ঘরে একটি গ্লুকোমিটার রাখার সুবিধা অনেক।

তবে অনেকেরই হয়তো জানা নেই, রক্তের শর্করা মাপার যন্ত্রটি কীভাবে ব্যবহার করতে হয়? আর সঠিকভাবে গ্লুকোমিটার ব্যবহার না করলে আসতে পারে ভুল ফলাফল।

কয়েকটি ছোট-খাটো ভুলের কারণে রক্তের শর্করা মাপলেও সঠিক ফলাফল পাওয়া যায় না। তাই কিছু ভুল আছে, যেগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা পরিমাপে আগে খেয়াল রাখা জরুরি-

>> শরীরে জলর অভাব থাকলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই দিনে অন্তত ৭-৮ গ্লাস জল পান করা জরুরি। পর্যাপ্ত জল পান না করলে রক্তপ্রবাহেও শর্করার ঘনত্ব বাড়ে এবং মূত্র ত্যাগের বেগ ঘন ঘন দেখা দেয়। আর এভাবেই শরীরে জলশূন্যতা হয়।

>> খাওয়ার পরপরই কখনও রক্তে শর্করার মাত্রা পরিমাপ করবেন না। এতে ফলাফল সঠিক আসবে না। খাওয়ার অনন্ত ২ ঘণ্টা পর মাপুন। বিশেষজ্ঞদের মতে, খাওয়ার পর রক্তে শর্করার মাত্রা মাপার আগে কমপক্ষে দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করতেই হবে।

>> গ্লুকোমিটার ব্যবহারের আগে আপনার হাত ভালো করে ধুয়ে নিন। হাত না ধুলে ফলাফল ভুল আসতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শর্করার মাত্রা পরিমাপের সময় রক্তের প্রথম ফোঁটা আর দ্বিতীয় ফোঁটার মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ ভিন্নতা পাওয়া যায়। তাই প্রতিবার এই যন্ত্রটি ব্যবহারের আগে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে শুকিয়ে রক্তের প্রথম ফোঁটাটি নিন।

>> অনেকেই একই সূঁচ অনেকবার ব্যবহার করেন। এটি বহুগুণে সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে পারে। আর ফলাফলও ভুল আসবে প্রতিবার ব্যবহারে।

>> গ্লুকোমিটার যেহেতু খুবই প্রয়োজনীয় একটি মেশিন। তাই একবার কিনলে ভালো মানের দেখে কিনুন। আর যন্ত্রটির রক্ষণাবেক্ষণের প্রতিও যত্নশীল হওয়া দরকার। এর ব্যাটারির দিকে খেয়াল রাখুন। প্রতিবার ব্যবহারের আগে যন্ত্রটি রিসেট করার বিষয়েও নজর রাখুন।