OMG! ধূমপান ছাড়াও হতে পারে আপনার ফুসফুসের ক্যান্সার, জানাচ্ছে নতুন গবেষণা

গোটা বিশ্বেই ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এর মধ্য থেকে যে সব ক্যনসারের প্রবণতা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে, তার মধ্যে ফুসফুসের ক্যানসার অন্যতম। মূলত ধূমপায়ীদেরই ফুসফুসে ক্যানসার হয় বলে ধারণা রয়েছে আমাদের। কারও ফুসফুসে ক্যানসার হলেই আমরা ধরে নিই, তিনি ধূমপায়ী ছিলেন। কিন্তু ধূমপান না করলেও ফুসফুসে ক্যানসার হওয়ার বড় ঝুঁকি থেকেই যায়। ধূমপানের বাইরে যে সব কারণেও ফুসফুসে জমতে পারে ক্যনসারের বীজ, তা জেনে আগে থেকেই সাবধান হলে তবেই সহজেই এড়ানো যাবে ফুসফুসের ক্যানসার। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

পরোক্ষ ধূমপান
নিজে ধূমপান না করলেও তামাকের ধোঁয়ার চারপাশেই থাকেন আপনি? কাছের কেউ ধূমপায়ী হলে এই সম্ভাবনা খুব বাড়ে। তাই তাকেও ধূমপান থেকে বিরত রাখুন, নিজেও পরোক্ষ ধূমপান থেকে সরে থাকুন। ফুসফুসে তামাকের ধোঁয়া পৌঁছনোর এই উপায়ও ক্যানসারের অন্যতম কারণ। ধূমপানের থেকে দূরে থাকার পাশাপাশি ধূমপায়ীর থেকেও দূরে থাকুন।

বংশগত কারণ
পরিবারে ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে সচেতন হন। বয়স পঞ্চাশ পেরলে নিয়ম করে চেক আপ করান। জেনেটিক মিউটেশনের কারণে কোনও দিন ধূমপান করেননি এমন মানুষও আক্রান্ত হতে পারেন ফুসফুসের ক্যানসারে।

দূষণ
আধুনিক জীবনে পরিবেশ দূষণের প্রকোপ অনস্বীকার্য। ক্যানসারের মতো মারণরোগের অন্যতম কারণ এই দূষণ। যানবাহন ও কলকারখানার ধোঁয়ায় থাকা নানা ক্ষতিকারক মৌল- অ্যাসবেসটস, নিকেল, ক্রোমিয়াম, আর্সেনিক এই ধরনের অসুখের জন্য দায়ী। এ ছাড়া ধোঁয়ার কার্বন মনো অক্সাইড, ওজোন গ্যাস, কার্বন ডাই অক্সাইড ইত্যাদিও শ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে প্রবেশ করে ক্যানসার ডেকে আনে। যারা দৈনিক রাস্তাঘাটে গাড়ির ধোঁয়ার মধ্যে চলাফেরা করেন, তাদের ক্ষেত্রেই এই ঝুঁকি অনেকটাই বেশি।

পেশাগত কারণ
রাসায়নিক গ্যাস বা ধোঁয়ার মধ্যে কাজ করতে হয় এমন মানুষের ফুসফুসে ক্যানসারের সম্ভাবনা অনেক বেশি। ট্যানারির কিছু বিশেষ বিভাগের কাজ, আকরিকের খনিতে কাজ, ইটভাটা, ড্রাইভিং, কারখানায় কাজ বা দীর্ঘ ক্ষণ চুলোর ধোঁয়ার সামনে দাঁড়িয়ে কাজ করেন এমন মানুষদের এই অসুখে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এমন পেশার সঙ্গে একান্তই যুক্ত থাকতে হলে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, চেক আপ করান ও মাস্ক ব্যবহার করুন।