অতিরিক্ত দুধ পান করা কি ক্ষতিকর, জেনেনিন কি বলছে চিকিৎসকরা

নিয়মিত দুধ পান করা স্বাস্থ্যকর অভ্যাস একথা সবারই জানা। সুস্বাস্থ্য ধরে রাখার জন্য নিয়মিত দুধ পান করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এটি প্রচুর পুষ্টি সমৃদ্ধ। এতে আছে ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম। এসব উপাদান শরীরে শক্তি বাড়ায় এবং হাড়কে মজবুত করে। বিশেষ করে শিশুদের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত দুধ পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এত উপকারিতা থাকার পরেও দুধ পান করা হতে পারে ক্ষতিকর। তবে তা যদি অতিরিক্ত পান করা হয় তখন।

গবেষণা কী বলছে?

যত পুষ্টিকর খাবারই হোক না কেন, প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খেলে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বেই। সুইডেনের এক গবেষণা বলছে, অতিরিক্ত দুধ পান করলে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন রকম শারীরিক সমস্যা। গবেষকরা বলছেন, প্রতিদিন তিন গ্লাসের বেশি দুধ পান করলে দেখা দিতে পারে মারাত্মক সমস্যা। নারীদের ক্ষেত্রে এই সম্ভাবনা আরও বেশি। অতিরিক্ত দুধ পানের ফলে হাড় ক্ষয়ের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। ১৯৯৭ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি দুধ পান করলে নারীদের হাড় ক্ষয়ের সম্ভাবনা কমে না বরং দেখা দেয় আরও অনেক সমস্যা।

অবসাদ দেখা দিতে পারে

শরীর ভালো রাখার জন্য বেশি বেশি দুধ পান করছেন কিন্তু অতিরিক্ত দুধ পান করার ফলে দেখা দিতে পারে অবসাদ। দুধে আছে এ ওয়ান ক্যাসেইন নামক উপাদান। এই উপাদান অবসাদ বাড়ানোর জন্য দায়ী। তাই অবসাদমুক্ত থাকতে চাইলে খুব বেশি দুধ পান করা থেকে বিরত থাকুন। ততটুকুই পান করুন, যতটুকু শরীরের জন্য প্রয়োজন।

হতে পারে ব্রণের সমস্যা

অনেকের মুখে কিংবা ত্বকে দেখা দেয় ব্রণের সমস্যা। নানা ধরনের উপায় মেনে চলেও এই সমস্যা দূর করা সম্ভব হয় না। ফুল ফ্যাট দুগ্ধজাতীয় খাবার বেশি খেলে ব্রণের সমস্যা দেখা দিতে পারে এমনটাই বলছে ক্লিনিকাল কসমেটিক অ্যান্ড ইনভেস্টগেশনাল ডার্মাটোলজির একটি গবেষণা। তাই ব্রণ থেকে দূরে থাকতে অতিরিক্ত দুধ পান বাদ দিন।

হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে

হজমের সমস্যার জন্য দায়ী হতে পারে অতিরিক্ত দুধ পানের অভ্যাস। বেশি দুধ পান করলে পেট ফাঁপার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। তাই নিয়মিত দুধ পান করলেও অতিরিক্ত পান করবেন না। এতে হজমের সমস্যা দেখা দেওয়ার ভয় কমবে।