আমরা প্রতিনিয়তই মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। যার সরাসরি প্রভাব ফেলছে আমাদের ত্বকের উপর। ফলে শুধু কপালে নয়, সারা মুখে প্রকাশ পাচ্ছে বলিরেখা। সেই সঙ্গে ত্বক যাচ্ছে বুড়িয়ে। তবে এর সমাধার আছে। কিছু ঘরোয়া উপায়ে সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
১. অলিভ অয়েল
অল্প পরিমাণে অলিভ অয়েল নিয়ে গরম করে নিন। তারপর একটু ঠান্ডা হলে তা কপালে এবং সারা মুখে লাগিয়ে কম করে ১০ মিনিট ভাল করে মাসাজ করুন। এমনটা করলে ত্বকের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরে আসে। সেই সঙ্গে স্কিনের ভিতরে জলের অভাব দূর হয়। শুধু তাই নয় সারা মুখে রক্তচলাচল বেড়ে যাওয়ার কারণে বলিরেখা তো কমেই। সেই সঙ্গে ত্বকের সৌন্দর্যতাও চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পায়।
২. নারকেল তেল
এই প্রকৃতিক উপাদানটি ত্বকের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি এতে উপস্থিত শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের অন্দরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বলিরেখা কমতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে প্রতিদিন রাতে শুতে যাওয়ার আগে অল্প পরিমাণ নারকেল তেল নিয়ে কপালে এবং সারা মুখে লাগিয়ে ভাল করে মাসাজ করতে হবে। এমনটা প্রতিদিন করতে পারলে দেখবেন অল্প দিনেই কপালের বলিরেখা কমে যাবে। সেই সঙ্গে সার্বিকভাবে সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাবে।
৩. পেট্রোলিয়াম জেলি
এখন থেকেই যদি কপালে ভাঁজ পরতে শুরু করে তাহলে নিয়মিত পেট্রোলিয়াম জেলিকে কাজে লাগাতে পারেন। আসলে এই উপাদানটিতে উপস্থিত নানাবিধ উপকারি উপাদান ত্বকের ভিতরে জলের ঘাটতি হতে দেয় না। ফলে বলিরেখা কমতে একেবারেই সময় লাগে না। তবে এক্ষেত্রে একটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে। তা হল, আপনি যদি প্রায়শই ব্রণের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে ভুলেও প্রেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করবেন না। তাতে ত্বকের সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে কিন্তু!
৪. অ্যালোভেরা এবং ডিম
২ চামচ অ্যালোভেরা জেল এবং ১টা ডিমের সাদা অংশ নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। তারপর সেই মিশ্রনটি কপালের পাশাপাশি সারা মুখে ভাল করে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। সময় হয়ে গেলে হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন সারা মুখ। প্রসঙ্গত, সপ্তাহে ২-৩ বার এই ফেস মাস্কটির সাহায্যে ত্বকের পরিচর্যা করলে স্কিনের অন্দরে ভিটামিন ই এবং ম্যালিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে, যা বলিরেখা কমানোর পাশাপাশি ত্বক উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।