সারাবিশ্বে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক মানুষ প্রাণ হারায়। মূলত আমাদের জীবনযাপনের কিছু অনিয়ম হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। হৃদরোগে আক্রান্ত হলে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। যা দেখে এই রোগ শনাক্ত করা সহজ হয়। তবে অনেকেই জানেন না যে, পুরুষ আর নারীদের মধ্যে হৃদরোগের উপসর্গগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পৃথক হয়।
পরিসংখ্যান বলছে, প্রায় ৬৪ শতাংশ নারীর ক্ষেত্রে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আগে বুকে ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা যায় না। নারীদের ক্ষেত্রে মূলত দেখা যায় ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট, কাঁধ ও ঘাড়ে ব্যথার মতো উপসর্গ। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক কোন কোন ভুল নারীদের শরীরে ডেকে আনতে পারে এই ধরনের সমস্যা-
>> একই সঙ্গে গর্ভনিরোধক বড়ি খাওয়া ও ধূমপান বাড়িয়ে দেয় হৃদরোগের আশঙ্কা। বিশেষত যাদের বয়স ৩৫ বছরের উপরে, তাদের ক্ষেত্রে অনেকটাই বেশি এই ঝুঁকি। ধূমপান বন্ধ করে দিলে হৃদরোগের আশঙ্কা কমে শতকরা আশি ভাগ।
>> নিয়মিত মদ্যপান অনেকটাই বাড়িয়ে দেয় হৃদরোগের ঝুঁকি। অতিরিক্ত মদ্যপান উচ্চরক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, অতিরিক্ত ওজনের মতো সমস্যা ডেকে আনে, যা সংবহনতন্ত্রের জন্য একেবারেই ভালো নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে দৈনিক ১২ আউন্স বিয়ার, ৫ আউন্স ওয়াইন ও ১.৫ আউন্স শটের বেশি মদ্যপান করা একেবারেই উচিত নয়।
>> পর্যাপ্ত শরীরচর্চার অভাবও সংবহনতন্ত্রের সমস্যার অন্যতম প্রধান কারণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারীদের সপ্তাহে অন্তত আড়াই ঘণ্টা শরীরচর্চা করা উচিত। যারা শরীরচর্চা করতে পারেন না, তাদের প্রতিদিন অন্তত তিরিশ মিনিট হাঁটতে হবে।
>> ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ও উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে নিয়মিত করতে হবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। বাহ্যিক উপসর্গ না থাকলেও এই বিষয়গুলো নজরে না রাখলে ঘটতে পারে বিপদ। যাদের এই ধরনের সমস্যা আছে, তাদের নিয়মিত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে।