এ সময় আমাদের আন্ডার-আর্মস বা বগল ঘর্মাক্ত হয়। অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া আমাদের ঘর্মাক্ত করে তোলে। ঘামের দুর্গন্ধের সমস্যায় ভোগেন অনেকে। এ জন্য আমাদের সচেতন থাকতে হয়।
ভারতের জীবনধারা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আপনি যদি ঘাম ও দুর্গন্ধের সমস্যায় ভোগেন, তাহলে আপনাকে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। আসুন, আমরা ছয়টি পরামর্শ জেনে নিই—
সুতির পোশাক পরুন: গরমকালে ত্বকের স্বস্তির জন্য পোশাক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সিনথেটিক কাপড় ত্বকের জন্য স্বচ্ছন্দ নয়, ঘাম বেশি শুষে নেয়; যা আপনাকে শুধু অস্বস্তিতেই ফেলে না, বগলকে আরও ঘর্মাক্ত করে। তাই এ সময় সুতির কাপড় পরুন এবং ঢিলেঢালা পোশাক পরা উচিত। তাহলে আপনি কম ঘর্মাক্ত হবেন।
শেভ করুন: গরমে আপনার বগলকে কেশমুক্ত রাখুন। বগল কেশমুক্ত থাকলে আপনি কম ঘর্মাক্ত হবেন। ঘাম থেকে মুক্তির জন্য এটা দারুণ কার্যকর কৌশল। স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী এটা উত্তম।
স্নানের পর পোশাক পরতে সময় নিন: স্নানের সময় তাড়াহুড়ো করবেন না। পোশাক পরার ক্ষেত্রেও নয়। আপনি যদি এমন জায়গায় থাকেন, যেখানকার আবহাওয়া স্যাঁতস্যাঁতে ও গরম, তাহলে তা আরও গুরুত্বপূর্ণ। শরীর ভালোভাবে শীতল হওয়ার আগে যদি পোশাক পরেন, তাহলে আপনি অতিরিক্ত ঘর্মাক্ত হবেন। তাই, স্নানের পর পোশাক পরার আগে একটু অপেক্ষা করুন। শরীরকে সম্পূর্ণভাবে শীতল হতে দিন। এরপর পোশাক পরুন।
খাদ্যাভ্যাস: বিশ্বাস করুন আর না-ই করুন, খাবারের কারণেও অতিরিক্ত ঘাম হয়। আপনি যদি লক্ষ করেন, তবে দেখবেন, কিছু খাবার খাওয়ার পর ঘাম হয়। তাই এসব খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কেমন খাবার সেগুলো? উষ্ণ ও মসলাযুক্ত খাবার এবং যেগুলোতে উচ্চমাত্রায় চর্বি থাকে। এসব খাবার শরীরকে উষ্ণ করে এবং ঘর্মাক্ত করে। তাই গরমকালে এসব খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন।
জল পান করুন: গরমকালে প্রচুর জল পান করা দরকার। এটি শরীরকে শীতল রাখে এবং এভাবে শরীর থেকে ঘাম বের হওয়া রোধ করে। সব সময় সঙ্গে জলের বোতল রাখুন এবং প্রতিদিন অন্তত তিন-চার লিটার জল পান করুন।
সীমিত ক্যাফেইন গ্রহণ : যখন আপনি কিছুতে মনোযোগ দিতে পারছেন না বা ঘুমঘুম ভাব হচ্ছে, তখন ক্যাফেইন গ্রহণ খুব উপকারী। কিন্তু ঘামের ক্ষেত্রে এটি ভালো নয়। ক্যাফেইন হার্ট রেট বাড়ায় এবং ঘামের গ্রন্থিগুলো অতি-সক্রিয় করে। তাই, আপনি যদি কম ঘামতে চান, ক্যাফেইন গ্রহণ সীমিত করুন।