হিল জুতো পরে স্মার্ট হতে গিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনছেন না তো? দেখেনিন কি বলছে চিকিৎসকরা

নারীর শপিং এর অন্যতম অনুষঙ্গ জুতো। আর ফ্যাশন সচেতন হলে তো কথাই নেই। জামার সঙ্গে মিলিয়ে হিল জুতো চাই ই চাই! কিন্তু শখের এই হিল জুতো পরে স্মার্ট হতে গিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনছেন না তো?

মানুষের শরীর মূলত ফ্ল্যাট পায়ের পাতার উপর দাঁড়িয়ে থাকে। যে কারণে, ফ্ল্যাট চটি বা জুতোর কোনও বিকল্প নেই। হাই হিল পরলে আঙুলের দিকে ভর দিতে হয় বেশি। কিন্তু সাধারণভাবে, স্বাভাবিক অবস্থায় পা বা গোড়ালি বহন করে শরীরের ৬০ শতাংশ ওজন। ফলে হিল পরলে বিপত্তি যে বাধবে, তাতে সন্দেহ নেই।

১১ থেকে ১৪ বছরের কিশোরীদের হিল পরা একেবারেই অনুচিত। কারণ, এটা বাড়ার বয়স। এই সময় পায়ে গঠনগত ত্রুটি হলে তা সারাজীবন থেকে যাবে।

দীর্ঘক্ষণ হিল পরলে পায়ে ব্যথা হয়। সেই সঙ্গে ‘হ্যামার টো’ হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ে। হ্যামার টো অর্থাৎ অনেকদিন হিল পরে হাঁটাচলার কারণে টোয়ের আকৃতি বদলাতে থাকে।

অনেকে আবার স্টিলেটো পরেন। সেক্ষেত্রে জুতোর সামনের দিকটা হয় খুব সরু হয়। দীর্ঘদিন এই টোয়ের দিকটা চাপা জুতো পরলে একটা আঙুলের উপর আর একটা আঙুল খুব চেপে থাকে। এতে সমস্যা তো হবেই।

হাই হিল পরলে গোড়ালিতে ব্যথা হবেই। জুতো খোলার পর গোড়ালির নিচের দিকে জ্বালা-জ্বালা ভাব থাকে। চিকিৎসার ভাষায় যাকে বলে ‘প্লান্টার ফ্যাসাইটিস’।

অনেকের আবার পায়ের মাসলেও ব্যথা হয়। উঁচু হিলে পা মচকে পড়ে যাওয়ার শঙ্কা তো আছেই।

ব্রিটেনের একটি সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, ইংরেজদের দেশে নাকি হাই হিল স্যান্ডেল পরার ফলে পড়ে গিয়ে ফ্র্যাকচার হচ্ছে অনেক বেশি।

তাহলে কি হিল জুতো পরবেন না?

সহজ উত্তর, অবশ্যই পরবেন। তবে হিলের সাইজ হবে এক থেকে দেড় ইঞ্চি। আর যদি অনুষ্ঠান বিশেষে আরও উঁচু হিল পরার শখ হয়, তাহলে তা তিন ঘণ্টার বেশি নয়।

প্রয়োজনে ব্যাগে করে জুতো নিয়ে যান। অনুষ্ঠানে ঢোকার আগে পরে ফেলুন। আবার অনুষ্ঠান শেষে পরিবর্তন করে ফ্ল্যাট জুতো পরে ফেলুন।

এক্ষেত্রে বাড়ি ফিরে অবশ্যই পায়ের পাতার এক্সারসাইজ করুন। গরম জলে পা ডুবিয়ে রাখতে পারেন। ঘরে খালিপায়ে হাঁটার অভ্যাসও করতে পারেন।