শরীরে পর্যাপ্ত আয়রনের অভাব দেখা দিলে স্বাভাবিক কার্যকলাপ বিঘ্নিত হয়। আয়রনের ঘাটতি হলে রক্ত স্বল্পতার মতো সমস্যাও দেখা যায়। তবে আয়রন-সমৃদ্ধ খাবার খেলেই এই ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়।
সম্প্রতি দেখা গেছে, শরীর আয়রন-সমৃদ্ধ খাবার অনেক পেয়েছে, তারপরও শরীরে আয়রনের অভাব! এটি কেন ঘটছে? চিকিৎসকরা দেখেছেন, এটি সাধারণত কোভিডে আক্রান্তদের ক্ষেত্রেই বেশি দেখা যাচ্ছে।
মানবশরীরে আয়রন খুবই জরুরি একটি উপাদান। এটি লোহিত রক্ত কণিকার প্রোটিন ও অক্সিজেনের অণু বহন করে। ফুসফুস থেকে অক্সিজেন নিয়ে এই কণা শরীরের সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়। রয়েছে মায়োগ্লোবিন নামের একটি কণাও। এটিও প্রোটিন। এটি পেশিতে অক্সিজেন সরবরাহ করে।
সাম্প্রতিক বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, হেপসিডিন বলে একটি পদার্থ আছে। অতি জরুরি এই কেমিক্যালটি লিভার থেকে নিঃসৃত হয়। এটি শরীরে আয়রনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী। কিন্তু কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির শরীরে এই হেপসিডিনের ক্ষরণ একটু অনিয়মিত হয়ে পড়ে।
হেপসিডিনের ক্ষরণ একটু অনিয়মিত হলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিতে থাকে। আর তা শরীরকে নানাভাবে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে। এমনকি, অন্য কোনো অসুখে আক্রান্ত হলে সেটা থেকে সেরে উঠতেও নানা বাধা তৈরি করে।
কীভাবে সমাধান মিলতে পারে?
আয়রনের কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে শরীরে বাইরে থেকে আয়রন সাপ্লিমেন্ট দেওয়া। ওষুধের মোড়কে কোনো সরাসরি সাপ্লিমেন্ট নয়, খাদ্যের মাধ্যমে।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, করোনা থেকে সেরে উঠে যারা আয়রনের ঘাটতি সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছেন তাদের নিয়মিত খাসির মাংস, মুরগির মাংস, সবুজ শাকসবজি, কলা, বিট, ব্রকোলি, বাদাম, ড্রাই ফ্রুটস খেতে হবে।