শিশুকাল থেকেই ওরাল হাইজিন বা মুখমণ্ডলের পরিচ্চন্নতার বিষয়ে সতর্ক হওয়া উচিত প্রত্যেক মা-বাবাকে। তাই দিনে কমপক্ষে দু-বার করে দাঁত মাজা শিশুর মুখমণ্ডলে পরিচ্ছন্নতা রক্ষার জন্য জরুরি। কিন্তু আপনার সন্তান যদি দাঁত মাজতে না চায় তাহলে তাকে কীভাবে ব্রাশ করাবেন জেনে নিন।
> সন্তানের প্রিয় খেলনা বা সফ্ট টয়ের দাঁত মেজে দেখান তাদের সামনে। তারপর বাচ্চাকে বলুন এমনটি করতে। বাচ্চাদের মধ্যে অজানা বিষয়ের প্রতি ভয় থাকে। কিন্তু ব্রাশ করার টেকনিক একবার দেখিয়ে দিলে তাদের মনের ভয় দূর হবে এবং ব্রাশ করতে ভালোবাসবে তারা।
> সকালে উঠে ব্রাশ করাকে পারিবারিক অ্যাক্টিভিটিতে পরিণত করতে পারেন। এর জন্য প্রতিদিন স্বামী, স্ত্রী ও সন্তান একসঙ্গে ব্রাশ করুন। এ ভাবে ব্রাশ করলে এটি একটি মজাদার কাজে পরিণত হবে এবং বাচ্চারা ওরাল হাইজিনের গুরুত্ব বুঝতে পারবে।
> নিজের সন্তানকে অনুপ্রাণিত করার জন্য ভিডিও বা মিউজিকও চালাতে পারেন। সেই ভিডিও দেখে দেখে তাঁরা ব্রাশ করার তাগিদ অনুভব করবে।
>গোসল করার সময় শিশুকে নিজের প্রিয় খেলনাটিকে ব্রাশ করতে দিন। এবার ধীরে ধীরে এই খেলনা থেকে তাদের মন সরিয়ে কোনও মিউজিক চালিয়ে দিন ও নিজের দাঁত ব্রাশ করার জন্য অনুপ্রাণিত করুন।
> শিশুরা দাঁত মাজতে না-চাইলে অভিভাবকরাই তাদের দাঁত মেজে দিন। কিন্তু বাচ্চারা এতে সম্মত হবে না। সে ক্ষেত্রে সন্তানকে আপনার টুথব্রাশ করে দিতে বলুন। এর পাশাপাশি আপনি তাদের দাঁত মেজে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি আদায় করে নিন।
> কার হাসি কত ভালো, তার জন্য প্রতিযোগিতা করুন। এই খেলার ভিতর তাদের বলুন, যেহেতু তাদের দাঁত পরিষ্কার নয়, তাই তাদের হাসিও সুন্দর না এবং টুথ ব্রাশ করলেই তারা এই খেলা জিততে পারবে। প্রতিযোগিতায় জয়ী হওয়ার লোভে অনেক বাচ্চারাই নিজের দাঁত ব্রাশ করার জন্য প্রস্তুত হবে।
উল্লেখ্য, কিছু কিছু বাচ্চারা অতিসংবেদনশীল ও তাঁরা আপনাকে নিজের দাঁত ব্রাশ করতে দেবে না। এ ক্ষেত্রে বাচ্চাদের দাঁত, মাড়ি ও জিভ পরিষ্কার করার জন্য আলতো ভাবে চাপ দিন।