মুখের দুর্গন্ধের জন্য কথা বলতে ভয় পান! তাহলে জেনেনিন যা যা করণীয়

আমাদের মনে রাখতে হবে, শরীরের প্রতিটি অংশেরই খেয়াল রাখা গুরুত্বপূর্ণ। মুখের স্বাস্থ্যও এই তালিকারই অন্তর্গত। কিন্তু আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই মুখের স্বাস্থ্যের কোনরকম খেয়াল রাখেন না বলে বিভিন্ন গবেষণায় ইতোমধ্যেই প্রমাণ মিলেছে। বেশিরভাগ মানুষই এই বিষয়টাকে একেবারেই আমল দেন না। আর মুখের স্বাস্থ্য ভালো না রাখলে মুক থেকে বের হতে পারে দুর্গন্ধ। তাই বিশেষজ্ঞরা এই অভ্যাস বদলের কথাই বলছেন।

চিকিৎসকদের মতে, আমাদের মুখের স্বাস্থ্য গোটা শরীরের উপর বিরাট প্রভাব ফেলে। তাই আমাদের প্রত্যেকের মুখের স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া উচিত। গবেষণা বলছে, মুখের স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে দাঁতের রোগ থেকে শুরু করে মাথার অসুখ পর্যন্ত হতে পারে। অতএব দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখাটা আমাদের অন্যতম কর্তব্য। এক্ষেত্রে দাঁত এবং মাড়ি দুয়েরই খেয়াল রাখতে হবে।

কীভাবে মুখের ভেতরের খেয়াল রাখবেন?

> ভালো করে ব্রাশ করুন। ব্রাশ করলেই মুখের হাজার সমস্যার সমাধান সম্ভব। দিনে দুবার ব্রাশ করা উচিত। তবে চাইলে তিন-চারবারও ব্রাশ করা যেতে পারে। তবে অকারণে ব্রাশ করতে যাবেন না।

> দাঁত মাজার ভালো পেস্ট ব্যবহার করুন। কারণ ভালো মাজন মুখের ভিতরের জীবাণুকে সহজেই মেরে ফেলতে পারবে। তখন যুদ্ধ জয় হবে সহজ।
তবে দাঁত মাজতে হবে সঠিক নিয়ম মেনে। উপর-নীচ করে দাঁত মাজুন। অর্থাৎ একবার দাঁতের উপরে ব্রাশ নিয়ে যান তো পরক্ষণে নীচে নামান ব্রাশ। এই পদ্ধতিতে দাঁত মাজুন। দাঁতের পাশাপাশি মাড়িতেও ব্রাশ করুন।

> জিভ ভালো করে পরিষ্কার করুন। বেশিরভাগ ব্রাশের পিছনেই জিভ পরিষ্কার করার ব্যবস্থা থাকে। পারলে আলাদা করে জিভ পরিষ্কারের উপকরণও ব্যবহার করতে পারেন।

> ব্রাশ করার পর মুখ ভালো করে কুলকুচি করে ধুয়ে নিন। মুখ ধোয়ার পর মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। তবেই মুখ ভালোমতো পরিষ্কার হবে।

> কারও সঙ্গে কথা বলার আগে মাউথ ফ্রেশনার ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে মুখের গন্ধ সহজেই দূর করা যাবে।

সমস্যা বেশি মনে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তিনি আপনাকে সঠিক পথ দেখাবেন।