পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত ব্লিডিংয়ের কারণগুলো জানেন কি?

একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর থেকে প্রতি মাসেই নারীদের পিরিয়ড বা ঋতুস্রাব হয়ে থাকে। পিরিয়ড চলাকালীন বা এর আগে-পরে অসংখ্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়ে থাকে। আমাদের দেশে প্রায় ৫০ শতাংশ নারী পিরিয়ড সংক্রান্ত নানা সমস্যায় ভোগেন। দিন দিন এই সংখ্যাটা বেড়েই চলছে।

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোমর ও পেট ব্যথা হয়ে থাকে। আর এই ব্যথা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। আবার কারো স্তনে ব্যথা, বমি হওয়া ও শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। অনেকে খাবার খেতে পারেন না। আবার কারো কারো অতিরিক্ত ব্লিডিং হয়।

তবে অতিরিক্ত ব্লিডিং এর সমস্যায় সবচেয়ে বেশি ভোগেন, সদ্য কিশোরী এবং ৪০ বছরের বেশি বয়সি মহিলারা। কারণ কিশোরী বয়স পিরিয়ড শুরুর সময় এবং ৪০ বছর বয়সের পর মেনোপজের আগে শরীরে সাময়িক ভাবে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোনের তারতম্য হয়। এর ফলেই অতিরিক্ত ব্লিডিংয়ের সমস্যা বাড়ে।

পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত ব্লিডিংয়ের কারণ হতে পারে কিছু রোগ। বর্তমানে রোগ নির্ণয় পদ্ধতি উন্নত হওয়ায় এবং সচেতনতা বাড়ায় আগের থেকে অনেক বেশি রোগ ধরা পড়ছে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত ব্লিডিংয়ের কারণগুলো-

** গর্ভপাত।

** সারভিক্সে সংক্রমণ।

** জরায়ুতে ফাইব্রয়েড বা টিউমার।

** জরায়ুর এন্ডোমেট্রিয়ামের সমস্যা।

** রক্তের কিছু বিরল অসুখে অনেক সময় হেভি ব্লিডিং হয়।

** লিভার ও কিডনির অসুখ থাকলেও এই সমস্যা হতে পারে।

** ইউটেরাস ও সারভিক্সের ক্যান্সার হলেও অতিরিক্ত ঋতুস্রাব হয়।

** জরায়ু লাইনিং এ বিনাইন (অর্থাৎ ক্যান্সার নয় এমন) পলিপ হলে।

** জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য ইন্ট্রা ইউটেরাইন ডিভাইস ব্যবহার করলে তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায়।

** হরমোন ওষুধ, রক্ত পাতলা করার ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রয়ায় অতিরিক্ত ব্লিডিংয়ের ঝুঁকি থাকে।

** ওভারিতে কোনো সমস্যা থাকলে ঠিক মতো ডিম্বাণু নিঃসরণ হয় না। তাতে প্রোজেস্টেরন হরমোন উৎপাদন কমে গিয়ে এই সমস্যা দেখা দেয়। তাই পিরিয়ড নিয়ে অবহেলা না করে সমস্যা দেখা মাত্রই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।