টি ব্যাগ ব্যবহারে চা পান শেষে অবধারিতভাবেই টি ব্যাগগুলো ফেলে দেওয়া হয়, অথচ ফেলনা এই জিনিসটিরও রয়েছে নানা ধরণের চমৎকার ব্যবহার। ব্ল্যাক টি, গ্রিন টি, জিনজার টি, তুলসি চায়ের ব্যাগগুলো ফেলে না দিয়ে সংরক্ষণ করলে পরবর্তীতে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যাবে। ত্বকের পরিচর্যা থেকে শুরু করে খাবারে নতুন মাত্রা যোগ, সবখানেই রয়েছে এই উপযোগিতা।
চোখের জন্য টি ব্যাগ
চায়ে থাকা পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আন্ডার আই ব্যাগ ও ডার্ক সার্কেলের সমস্যায় দারুণ কাজ করবে। চায়ে ব্যবহারের পর টি ব্যাগগুলো রেফ্রিজারেটরে রেখে ঠান্ডা করে নিতে হবে। ঠান্ডা এই টি ব্যাগগুলো দুই চোখের উপরে দিয়ে রাখতে হবে ৮-১০ মিনিটের জন্য। এভাবে টানা এক সপ্তাহ টি ব্যাগ ব্যবহারে লক্ষণীয় পরিবর্তন দেখা যাবে।
খাবারের স্বাদ বৃদ্ধিতে টি ব্যাগ
বিভিন্ন ধরণের মিষ্টান্ন জাতীয় খাবারের স্বাদ ও ঘ্রাণ বৃদ্ধিতে টি ব্যাগের ব্যবহার পাশ্চাত্যে বেশ জনপ্রিয়। খাবারের সাথে ব্যবহৃত টি ব্যাগ রেখে দেওয়া হলে চায়ের মিষ্টি ঘ্রাণ খাবারে মিশে যায়। এক্ষেত্রে সাধারণ ক্যামোলাইন ও চিনামন টি ব্যাগের ব্যবহার হয় বেশি।
বাগানের জন্য টি ব্যাগ
বারান্দায় কিংবা ছাদে যাদের শখের বাগান আছে তাদের জন্য টি ব্যাগ খুবই কাজের একটি জিনিস। টি ব্যাগের চা পাতা টবের মাটিতে ছড়িয়ে দিলে গাছ তরতাজা থাকবে এবং গাছে ফাঙ্গগাল ইনফেকশন হওয়ার সমস্যা রোধ করা যাবে। ব্যবহৃত চায়ের পাতা মাটির সাথে মিশে ভালো মানের সার তৈরি করে।
বাজে গন্ধ দূর করতে টি ব্যাগ
রেফ্রিজারেটরে, রান্নাঘরে, বারান্দায় কিংবা ঘরের কোন অংশে বাজে গন্ধের উদ্রেক দেখা দিলে ব্যবহৃত টি ব্যাগ রেখে দিতে হবে। এতে থাকা প্রাকৃতিক ডিওডরাইজিং উপাদান বাজে গন্ধকে শোষণ করে নেবে।