মানবদেহ সম্পর্কে সাধারন জ্ঞানের তথ্য

মানব দেহ কি দিয়ে গঠিত মানব দেহের গঠন মানব দেহের অঙ্গের নাম ইংরেজিতে মানব দেহের সবচেয়ে বড় অঙ্গের নাম কি মানব দেহে হাড়ের সংখ্যা মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গ মানব দেহের সবচেয়ে বড় কোষ কোনটি মানব দেহের ফুসফুস
মানবদেহ

মানবদেহ, রক্ত কণিকা, মস্তিষ্কের নিউরন, কিডনীর নেফরন সম্পর্কে কিছু বহুল প্রয়োজনীয় সাধারন জ্ঞান জেনে নেয়া যাক ।
১। মানবদেহে মোট কোষের সংখ্যা কতো?

প্রায় ৩০ ট্রিলিয়ন কোষ দিয়ে আমাদের দেহ তৈরি। যেখানে প্রায় ২০০-২১০ ধরণের বিভিন্ন কোষ রয়েছে। আমাদের দেহে ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কিন্তু ৩৮ ট্রিলিয়ন।

২। সবচেয়ে বেশি রয়েছে লোহিত রক্ত কণিকা। প্রায় ২৫ ট্রিলিয়ন। এছাড়া অণুচক্রিকা রয়েছে ১৪৭ মিলিয়ন, এবং শ্বেত রক্ত কণিকা রয়েছে ৪৫ মিলিয়ন। প্রতি সেকেন্ডে ২৪ লক্ষ রক্তকণিকা তৈরি হয় আমাদের দেহে। প্রতিদিন প্রায় ১৭৩-২৬০ বিলিয়ন রক্তকণিকা তৈরি হয়।

৩। আমাদের মস্তিস্কে ১৭০ বিলিয়ন কোষ রয়েছে যার মধ্যে নিউরন রয়েছে ৮৬ বিলিয়নের মতো। প্রত্যেকটি নিউরন প্রায় ৭০০০ সিনাপস তথা সংযোগ তৈরি করতে পারে। তিন বছরের শিশুর মস্তিস্কে প্রায় ১ কোয়াড্রিলন সংযোগ তৈরি হয় যা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। বয়স্কদের সাধারণত ২০০-৫০০ ট্রিলিয়ন সিনাপস বা সংযোগ তৈরি হয়।

৪। দুই কিডনীতে মোট নেফরনের সংখ্যা প্রায় ১ মিলিয়ন থেকে ২.৫ মিলিয়নের মতো।

৫। জানেন কি নিউরন বিভাজিত হতে পারে না। একটি নিউরন থেকে দুটি নিউরন তৈরি হতে পারে না। তবে স্টেম কোষ থেকে এখন কিছু নিউরন তৈরি করা যায় দেহের ভিতরে।

৬। আমাদের মস্তিস্কের কার্যক্ষমতার ১০ শতাংশ ব্যবহৃত হয়। অবাক করা বিস্ময় হচ্ছে আমাদের দেহ এমনভাবে তৈরি করা হয়ছে যে আপনি আমি মস্তিস্কের শতভাগ ব্যবহার যেন করতে না পারি।

৭। মস্তিস্কের নিউরনগুলি একে অপরের সাথে সংযুক্ত হয়ে বিশাল নেটওয়ার্ক তৈরি করে। এবং আপনার কথা, কাজ, চিন্তা ইত্যাদির সাথে মস্তিস্ক নিজেকে মানিয়ে নিতে শেখে। প্র্যাকটিস করতে করতে কোন একটি কাজে আপনি অত্যন্ত দক্ষ হয়ে উঠেন কারণ মস্তিস্ক সেভাবে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে আপনাকে দক্ষ করে তোলে। একেই বলে নিউরোপ্লাস্টিসিটি। কাজেই নিজের মস্তিস্ককে নিজেই রূপ দিতে পারবেন। ভালো চিন্তা, ভালো কাজ, ইত্যাদি পজিটিভ দিক আপনার মস্তিস্ককে সেভাবেই গড়ে তুলবে। অপরদিকে নেতিবাচক কাজ, নেতিবাচক ভাবনা আপনার মস্তিস্ককে সেভাবেই গড়ে তুলবে। স্ট্রোক করার পরে মানুষের মস্তিস্কের সংযোগ ব্যহত হয়। তাই বিজ্ঞানীরা নতুন সংযোগ তৈরি করার স্বার্থে স্ট্রোক রোগীদের প্রচুর ব্যায়াম করতে বলেন, কিংবা বই পড়তে বলেন।