পুরুষের ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরন নামক হরমোন কমে গেলে যৌন চাহিদা হ্রাস পায়। তাই যে খাবারের কারণে এই হরমোনের মাত্রা কমে যায় সেগুলি থেকে পুরুষের যৌনইচ্ছাও কমে যেতে পারে।
যৌনচাহিদা বজায় রাখতে চাইলে কিছু খাবার পুরুষদের পরিহার করা বা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। যেমন. . .
যেকোন ধরনের রিফাইন কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা জাতীয় খাবার ও যৌনচাহিদা কমিয়ে দিতে পারে। বিভিন্ন ধরনের ক্র্যাকার্সে শর্করার পরিমাণ সবচেয়ে বেশি থাকে। অতিরিক্ত রিফাইন কার্বোহাইড্রেট টেস্টোস্টেরনের মাত্রাও কমিয়ে দেয়। এছাড়াও এগুলি থেকে ওজন বৃদ্ধি হওয়ার আশঙ্কা থাকে৷ এগুলির ফলে শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
আবার রিচ ফুড সবসময় মানুষকে তন্দ্রাচ্ছান্ন করে রাখে ফলে যৌন মিলনে উৎসাহ পাওয়া যায়না। অতিরিক্ত সয়া জাতীয় খাবার খেলে পুরুষের স্তনের আকার কমে যায়। সয়া থেকে যে সমস্ত খাবার তৈরি হয় যেমন সয়াসস, সয়ামিল্ক এগুলো ব্যাপক হারে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলে যৌন চাহিদা কমে যায়।
ইউরোপিয়ান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশেন এমনই তথ্য জানিয়েছেন।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, যারা দিনে অন্তত ১২০ গ্রাম সয়া খান তাদের শরীরে টেস্টোস্টেরন কমে যায়। আর যেসব পুরুষ সন্তান গ্রহনের কথা ভাবছেন, তারা এই খাবার খাদ্যাতালিকা থেকে একেবারে বাদ দিন। সয়া পুরুষের শুক্রাণুর পরিমাণও কমিয়ে দেয়।
যে খাবারে অতিরিক্ত হরমোন বা অ্যান্টিবায়োটিক রয়েছে সেগুলি না খাওয়াই ভালো। যেমন কিছু রেডমিটে প্রচুর হরমোন থাকে৷ এর ফলে রেডমিট খেলেই শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তবে যদি রেডমিট নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় খাওয়া যায় তবে তা উপযোগীও বটে৷ রেডমিট জিঙ্ক এবং প্রোটিনের অন্যতম উৎস৷ প্রোটিন এবং জিঙ্ক দুটিই শরীরের মেদ কমায় এবং পেশী গঠনে সাহায্য করে।
প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাবার খাওয়ার ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন বৃদ্ধি হয়। ওজনবৃদ্ধির ফলে যৌনইচ্ছা হ্রাস পায়। যেকোন ধরনের খাবারই যৌন আকাঙ্খার ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করে। খাওয়ার পরিমাণের উপর মানুষের বয়স বাড়াও নির্ভর করে। যাদের ওজন ৩৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে তাদের বয়স দ্রুত বাড়ে। শরীর বয়সের আগেই বৃদ্ধি হয়ে যায়। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই যৌন চাহিদাও কমে আসে।