কোষ্ঠকাঠিন্য মানে আরও অনেক সমস্যার জন্ম। কারণ এই সমস্যায় পেট ঠিকভাবে পরিষ্কার হয় না। তখন খাবারে অনীহা, হজমে সমস্যা ইত্যাদি বাড়তে থাকে। পেট ঠিকভাবে পরিষ্কার না হওয়ার কারণে গ্যাস জমে থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রে দায়ী আমাদের খাবার ও খাদ্যাভ্যাস।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় পেট, কোমর ও মলদ্বারে ব্যথা হতে পারে। সেইসঙ্গে চাপ পড়ে কোলনে। দীর্ঘ সময় এই সমস্যায় ভুগলে হতে পারে কোলন ক্যান্সার পর্যন্তও! তাই যখন যা খুশি খাওয়া কিংবা অনিয়মিত খাবার গ্রহণ করা বন্ধ করুন। কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য হলে এড়িয়ে চলুন এই খাবারগুলো-
রেড মিট
খাসিসহ যেসব মাংসে চর্বি বেশি থাকে, কোষ্ঠকাঠিন্য হলে সেসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। অনেকে সসেজ, স্টেক, রোস্ট খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে এসব খাবার খাওয়া চলবে না। এ ধরনের খাবার হজম হতে বেশি সময় লাগে তাই অন্ত্রে বেশি সময় ধরে থাকে। যে কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আরও বেড়ে যায়। এছাড়া রেড মিট বেশি খেলে তা হার্টের সমস্যার ঝুঁকিও বাড়ায়।
গ্লুটেন
গ্লুটেন হলো এক ধরনের জটিল প্রোটিন। গম, বার্লিতে থাকে এই উপাদান। এটি গ্লুটেন এক ধরনের আঠালো পদার্থ, যা বেক করার সময় খাবারকে ফুলে উঠতে সাহায্য করে। রুটি, পাউরুটি, পাস্তা, কেক, চিপস, সস, বিয়ার – এসব খাবার ও পানীয়ে থাকে এই গ্লুটেন। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
হিমায়িত খাবার
সব ধরনের হিমায়িত খাবারই কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়িয়ে তুলতে পারে। ঠান্ডায় সংরক্ষিত বা প্রক্রিয়াজাত খাবারে জল শুকিয়ে ফেলা হয়। এছাড়াও এসব খাবারে লবণ থাকে অনেক বেশি। যে কারণে এ ধরনের খাবার খেলে বাড়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্য।
অতিরিক্ত তেল এবং ভাজাভুজি
ফাস্টফুড বা স্ন্যাকস জাতীয় খাবার যেমন চিকেন ফ্রাই, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিপসসহ ডুবো তেলে ভাজা সব খাবারই অন্ত্রের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এসব খাবার আপনার অন্ত্রকে তার স্বাভাবিক কাজ চালিয়ে যেতে বাধা দেয়। যে কারণে এ ধরনের খাবার খেলে বাড়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা।
দুধ এবং বেকারি পণ্য
দুধ ও বেকারি পণ্য প্রতিদিনের খাবারে তো থাকেই। কিন্তু যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে তারা এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলবেন। বিস্কুট, ক্র্যাকার্স বা পেস্ট্রিজাতীয় খাবারে ফ্যাট থাকে বেশি। সেইসঙ্গে এসব খাবারে জলের অংশ ও ফাইবার থাকে খুবই কম। এগুলো কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়ানোর অন্যতম কারণ। এদিকে দুগ্ধজাত খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়াতে পারে। তাই এর বদলে প্রতিদিনের খাবারে রাখতে পারেন টক দই। এটি হজমে সহায়ক হিসেবে কাজ করে।