ত্বকের যত্নে কতজনই না কতকিছু ব্যবহার করেন। তার মধ্যে প্রাকৃতিক এক উপাদান হলো অ্যালোভেরা। ত্বকের জন্য খুবই উপকারী এই উপাদান। ত্বকের যত্নে জাদুকরী এক উপাদান হলো অ্যালোভেরা।
ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে অ্যালোভেরা। বিশেষ করে গরমে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে অ্যালোভেরা বিশেষ উপকারী। এমনকি এটি ত্বক ঠান্ডাও রাখে।
অ্যালোভেরা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন- কালচে দাগ, ফ্ল্যাকি ত্বক, ব্রণের দাগ, কালো ও উজ্জ্বল দাগ, পিগমেন্টেশন হালকা করতেও সাহায্য করে। তবে অনেকেই জানেন না, ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক-
>> অ্যালোভেরা ও লেবু একসঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করতে পারেন একটি ফেসপ্যাক। অ্যালোভেরা ও ভিটামিন সি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
এই ফেসপ্যাক মুখে ৫-১০ মিনিট ম্যাসাজ করে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বক যদি শুষ্ক হয় তাহলে লেবু ব্যবহার করবেন না।
>> অ্যালোভেরার সঙ্গে আরও মিশিয়ে নিতে পারে হলুদ ও মধু। গরমে ত্বকের যত্নে মধু একটি চমৎকার উপাদান। এজন্য ১ চিমটি হলুদ, ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল ও ১ চা চামচ মধু ও কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। ত্বকে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন মুখ।
>> টকদইয়ের সঙ্গে অ্যালোভেরা মিশিয়েও তৈরি করতে পারেন বিশেষ এক ফেসমাস্ক। এই প্যাক ত্বকের আর্দ্রতা ও উজ্জ্বলতা দুটোই বাড়ায়।
আপনার ত্বক শুষ্ক হলে এই প্যাকে মধু ব্যবহার করুন। আর তৈলাক্ত ত্বক হলে লেবু ব্যবহার করুন। এই প্যাক ত্বকে ব্যবহার করে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
তবে অ্যালোভেরা ব্যবহারে সবার ত্বকেই যে উজ্জ্বলতা বাড়বে তা কিন্তু নয়। ডার্মাটোলজিস্টদের মতে, অ্যালোভেরায় থাকা অ্যালোসিন নামক পদার্থ সত্যিই ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, তবে তা সবার জন্য প্রযোজ্য নয়।
কারণ এই অ্যালোসিন অনেকের ত্বকে চুলকানি বা জ্বালার কারণ হয়ে ওঠে। ফলে সবার ত্বকের জন্য অ্যালোভেরা মানানসই হয় না। তাই অ্যালোভেরা ব্যবহারের আগে হাতে ও কানের পেছনে অবশ্যই ব্যবহার করে প্যাচ টেস্ট করে নিতে হবে।