ঘুমের মধ্যে বা হঠাৎ হাঁটতে গিয়ে পায়ের পেশিতে টান, কখনও বা আড়মোড়া ভাঙতে গিয়ে হঠাৎই পেশি শক্ত হয়ে গিয়ে টান ধরা। আমাদের অনেককেই এই সমস্যায় ভুগতে হয়। পেশির টানের এই যন্ত্রণা বেশির ভাগের ক্ষেত্রেই খুব কম সময়ের জন্য হয়। কিন্তু পেশিতে মাসাজ বা বরফ সেঁক দেওয়ার পর তা কমলেও এই ব্যথার প্রভাব থেকে যায় প্রায় গোটা দিন।
চিকিৎসকদের মতে, শরীরে ল্যাকটিক অ্যাসিড জমে যাওয়া, কখনও টোকোফেরল, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, ভিটামিন এ-র অভাব, পটাশিয়ামের স্বল্পতা এই মাসল ক্র্যাম্প বা পেশির টানের কারণ। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে বেড়ে ওঠার সময়ও এমন লক্ষণ দেখা যায়। কোনও কোনও শিশুক হাড়ের বৃদ্ধির সঙ্গে পেশির বৃদ্ধি সমতা বজায় রাখতে পারে না। তখনই পেশিতে টান ধরে।
এমন পেশির টানের প্রবণতা তুলনামূলকভাবে বাড়ে। তবে কিছু বিষয় মাথায় রাখলে তা এড়িয়ে চলাও যায়। জেনে নিন সে সব।
১. পেশির টানের অন্যতম কারণ শরীরে টক্সিন, ল্যাকটিক অ্যাসি়ড ইত্যাদি জমে যাওয়া। তাই শরীরচর্চা বন্ধ করবেন না। প্রথম প্রথম শরীরচর্চা শুরু করার কারণে পেশির খাটনি বেশি হয়। তাই পেশিতে টান ধরতে পারে। সে ক্ষেত্রে টানের ব্যথা কমলে শরীরচর্চায় ফিরুন। তবে ব্যায়াম বা শরীরচর্চা বন্ধ করে দেবেন না।
২. ডায়েটে রাখুন কলা, আমন্ড, দুগ্ধজাত দ্রব্য, গাজর, বিনস ইত্যাদি। ভিটামিন এ, ডি এবং ই, পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার পেশির টান কমায়।
৩. পেশির টান ধরলে আক্রান্ত জায়গায় বরফ সেঁক দিন। দ্রুত মাসাজ করে পেশিকে শিথিল করে তুলুন।
৪. শিশুদের ঘন ঘন পেশিতে টান ধরলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।