পাকস্থলীর জন্য ক্ষতিকর এই খাবারগুলো, জেনেনিন আর এগুলি থেকে দূরে থাকুন

প্রোবায়োটিক ও খাদ্যআঁশ সমৃদ্ধ খাদ্য উপাদানগুলো পাকস্থলী সুস্থ রাখতে ও পাকস্থলীর কার্যকলাপ স্বাভাবিক রাখতে অবদান রাখে। ঠিক একইভাবে কিছু খাবার পাকস্থলীতে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে দেয় এবং পাকস্থলীর ক্ষতি করে। ক্ষতিকর এই খাবারগুলো খাদ্য পরিপাকে ব্যাঘাত ঘটিয়ে পাকস্থলীতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে এবং ইনফ্ল্যামেশন তথা প্রদাহ তৈরি করে।

ক্ষতিকর এই খাবারগুলো খাদ্যাভাসে থাকলেও চেষ্টা করতে হবে যথাসম্ভব কম খাওয়ার ও এড়িয়ে চলার।

শর্করা জাতীয় খাবার
সাধারণত শর্করা তথা কার্বকে দুইভাগে ভাগ করা হয়। গুড কার্ব ও ব্যাড কার্ব। তবে অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাদ্য গ্রহণের ফলে পাকস্থলীর ফ্লোরার ব্যালেন্সে সমস্যা দেখা দেয় এবং প্রদাহ তৈরি করে। সাদা ভাত, পাস্তা, বিস্কুট, পাউরুটি হলো এমন খাবার।

অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট
তিন ধরণের ডায়েটারি ফ্যাট ইনফ্ল্যামেশন ও পেটে মেদ তৈরির জন্য দায়ী। ফ্যাট তিনটি হলো- ট্রান্স ফ্যাট, স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ওমেগা-৬ ফ্যাট। প্যাকেটজাত খাবার, উচ্চ ফ্যাটযুক্ত মাংস, ফুল ফ্যাট দুগ্ধজাত খাবার, কর্ন অয়েল, সয়াবিন অয়েল অস্বাস্থ্যকর ফ্যাটের মাঝে পড়ে।

তেলে ভাজা খাবার
তেলে ভাজা যেকোন খাবারই পাকস্থলীর উপর বাড়তি চাপ তৈরি করে এবং অ্যাসিড রিফ্ল্যাক্স ও বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা তৈরি করে। এছাড়া প্রক্রিয়াজাত খাবারের মতোই তেলে ভাজা খাবার তলপেটের চর্বি বৃদ্ধি করে এবং খাদ্য পরিপাক হতে লম্বা সময়ের প্রয়োজন হয়।

কোমল পানীয়
কোমল পানীয় পানে স্বাস্থ্যের জন্য সবসময়ই ক্ষতিকর, যা পাকস্থলীর জন্যে আরও খানিকটা বেশি ক্ষতিকর প্রভাব তৈরি করে। কোমল পানীয়তে থাকা উচ্চমাত্রার চিনি ও ফ্লেভার পাকস্থলীর ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতির উপর প্রভাব তৈরি করে।

লবনাক্ত খাবার
লবনাক্ত খাবার বলতে অতিরিক্ত লবণযুক্ত স্ন্যাক্স ঘরানার খাবারকে বোঝানো হয়েছে। যেকোন ভাবেই লবণ গ্রহণ করা হোক না কেন, তা পাকস্থলীর জন্য ক্ষতিকর। চিপস কিংবা চানাচুরের মতো খাবারে প্রচুর মাত্রায় লবণ, হাইড্রোজেনেটেড তেল থাকে। হাইড্রোজেনেটেড তেল মানেই ক্ষতিকর ফ্যাট। লবণ ও এই ক্ষতিকর ফ্যাট পাকস্থলীর স্বাভাবিক ক্রিয়াকে ব্যাহত করে।

সম্পূর্ণ ফ্যাট-ফ্রি খাবার
অনেকেই সম্পূর্ণ ফ্যাট-ফ্রি খাবার স্বাস্থ্য ও পাকস্থলীর জন্য ভালো হবে। আদতে ঘটনা সম্পূর্ণ ভিন্ন। ফ্যাট-ফ্রি খাবারে থাকে অনেক উচ্চমাত্রার আর্টিফিশিয়াল প্রিজার্ভেটিভ ও কেমিক্যাল। যা পরিপাক হতে লম্বা সময় নেয় এবং ভালোভাবে পরিপাক হতে চায় না। ফলে বদহজমের সমস্যা দেখা দেয়।