চুইংগাম খাওয়ার অভ্যাস আমাদের মধ্যে অনেকেরই আছে। যদিও চুইংগাম শিশুদের সবচেয়ে প্রিয়। তবে বড়রাও চুইংগাম খান। কাজের ফাঁকে কিংবা চলার পথে মুখে একটা চুইংগাম রাখেন অনেকেই। কারো ক্ষেত্রে এটি সাধারণ অভ্যাস, কারো বা অনেক বেশি প্রিয় এভাবে চুইংগাম খাওয়া।
অনেকের মতেই, চুইংগাম খাওয়ার রয়েছে অনেক খারাপ দিক। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, চুইংগাম খাওয়ার আছে কিছু উপকারিতাও।
বেশিরভাগ চুইংগাম প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি, সেগুলো স্বাস্থ্যের পক্ষে খারাপ। তাই চুইংগাম সবসময় প্লাস্টিক ইবিং পলিথিন টক্সিন ফ্রি হলেই খাওয়া উচিত। এ ধরনের চুইংগাম অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল। এগুলো মাইক্রবায়ামকে জাগিয়ে রাখে এবং মাউথ ফ্রেশনার হিসেবেও কাজ করে।
চুইংগাম বেশিক্ষণ না চিবুনোই ভালো। আপনি যদি এটি অল্প সময়ের জন্য চিবুতে থাকেন তবে মুখের পেশীগুলো সক্রিয় হয়। চুইংগাম যদি মিন্ট ফ্লেবার হয়, তবে এটি কগনিটিভ বুস্টার হিসেবে কাজ করে। আপনাকে ফোকাস করতে সাহায্য করবে, বাড়াবে স্নায়ুর কর্মক্ষমতা। চুইংগাম চিবুনোর অভ্যাস থাকলে তা আপনাকে রিলাক্স হতে সাহায্য করবে। চুইংগাম চিবুনোর কারণে লালারসে গ্যাস্ট্রিক উপাদেয় বেশি থাকে, এটি সাহায্য করে খাবার হজম করতে।
চলুন জেনে নেয়া যাক চুইংগাম খাওয়ার আরো কিছু উপকারিতা সম্পর্কে-
মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়
মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে চুইংগাম। চুইংগাম চিবুনোর অভ্যাস থাকলে তা দীর্ঘ সময় কাজ করার শক্তি দেয় এবং সেইসঙ্গে বাড়ে মানসিক স্পৃহা। বৃদ্ধি পায় দক্ষতা। তাই কাজের চাপে থাকলে চুইংগাম চিবুনোর অভ্যাস করতে পারেন। এতে অনেকটা স্বস্তি পাবেন।
স্ট্রেস দূর করে
মানসিক চাপ বা স্ট্রেস দূর করতেও কার্যকরী হলো চুইংগাম। আপনি যদি স্ট্রেসের মধ্যে থাকেন তবে চুইংগাম খান। এটি আপনার পক্ষে আদর্শ হতে পারে। মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করতে সাহায্য করবে চুইংগাম। এটি স্নায়ুতন্ত্রকে সজাগ রাখতে সাহায্য করবে।
কাজে মন বসাতে সাহায্য করে
আপনার ভেতরে যদি অস্থিরতা কাজ করে, কোনো কাজে মন না বসে তাহলে চুইংগাম খেতে পারেন। এটি জিআই ফাংশন উন্নত করে। চুইংগাম খেলে কাজে মন বসানো সহজ হবে। তখন যেকোনো কাজ করাটাও সহজ হয়ে উঠবে।
ওরাল হেলথ ভালো রাখে
ওরাল হেলথ বা মুখের ভেতরের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজ করে চুইংগাম। এটি দাঁতের যত্ন নিতে পারে সেইসঙ্গে অনেকসময় মাউথ ওয়াশ হিসেবেও কাজ করে। মুখের ভেতরে জন্ম নেয়া ক্ষতিকর জীবাণু মেরে ফেলতেও কাজ করে চুইংগাম।