যারা ওজন কমাতে চায় তারা অধিকাংশ ডায়েট মেনে চলতে শুরু করে। খাবারের তালিকা থেকে কত খাবারই না বাদ দিতে হয়। এসব করে আর কতটুকুই বা ফল পাবেন। বরং সঠিক পদ্ধতিতে চললেই বেশি খাবার খেয়েও ওজন কমানো সম্ভব হবে।
তবে চলুন খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে তিনটি কৌশল জেনে নেই-
প্রতিবেলায় প্রোটিন ও আঁশ খাওয়া
প্রোটিন শরীরে বিপাক বাড়ায়, দীর্ঘক্ষণ ভরপুর রাখে পেট এবং ক্ষুধা ক্ষুধা ভাব দূর করে। আঁশ রক্তে শর্করা শোষণে সহায়তা করে, গ্লুকোজে পরিণত করতে এবং চর্বি না জমিয়ে তা শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে।
ডিম, পালংশাক, পনির, চিয়া বীজের পুডিং এবং বেরি- প্রোটিন ও আঁশের ভালো উৎস। চাইলে মুরগি, সালাদ ও ধুন্দুলের নুডুলস খেতে পারেন।
খাবারের সময় নির্ধারণ করুন
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা ওজন কমানোর মূল চাবিকাঠি। তাই দুপুরের খাবারের মধ্যে খুব বেশি বিরতি রাখা যাবে না। বিরতি বেশি হলে রক্তে শর্করা বেড়ে ওজন বৃদ্ধি পায়। রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে প্রতিবেলার খাবারের মাঝে চার ঘন্টা বিরতি রাখুন।
বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায়, সময় মতো খাওয়া শরীরে মেদ জমতে বাধা দেয়।
চর্বি খাওয়া
চর্বি শরীরে চর্বি জমায় না। বরং, চর্বির উপাদান দ্রুত ক্ষুধার অনুভূতি দূর করে। স্বাস্থ্যকর চর্বি খাওয়া রক্তের ইন্সুলিনের উপর ইতিবাচক প্রভাব রাখে এবং টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
প্রক্রিয়াজাত চর্বি ছাড়া অন্যান্য সকল চর্বি বা ফ্যাট স্বাস্থ্যকর।
প্রতিবেলায় সামান্য চর্বি খাওয়া ভালো। নারিকেল তেল, অ্যাভোকাডো ও সূর্যমুখীর বীজ স্বাস্থ্যকর চর্বির ভালো উৎস।