অসাবধানে বা অপরিকল্পিত ভাবে যৌন সঙ্গম হয়ে যেতেই পারে। এই পরিস্থিতিতে গর্ভধারণের ঝুঁকি এড়াতে বার্থ কন্ট্রোল পিল বা জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধের সাহায্য নেন অধিকাংশ নারী। আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক বার্থ কন্ট্রোল পিল বা গর্ভনিরোধক ওষুধ গ্রহণের আগে বেশ কয়েকটি জরুরি তথ্য……
১) বার্থ কন্ট্রোল পিল বা গর্ভনিরোধক ওষুধকে অনেকে ‘মর্নিং আফটার পিল’ও বলে থাকেন। তবে এই ওষুধ সঙ্গমের পরদিন সকালেই খেতে হবে এমন কোনও কথা নেই। রাতে সঙ্গমের পরও খেতে পারেন। যত তাড়াতাড়ি খাবেন তত ভাল কাজ করবে বার্থ কন্ট্রোল পিল বা গর্ভনিরোধক ওষুধ।
২) বার্থ কন্ট্রোল পিল বা গর্ভনিরোধক ওষুধ গর্ভপাত করায় না, শুধু ডিম্বস্ফোটন বা ওভিউলেশনের সময় পিছিয়ে দিয়ে গর্ভধারণের ঝুঁকি এড়াতে সাহায্য করে। তাই গর্ভধারণের পর এই জাতীয় অষুধ খেলে কোনও কাজ হবে না।
৩) বার্থ কন্ট্রোল পিল বা গর্ভনিরোধক ওষুধ খেলে ওজন বেড়ে যাবে ভেবে অনেকেই ভয় পান। যদিও এর সঙ্গে ওজন বাড়ার কোনও সম্পর্ক নেই।
৪) কোনও বার্থ কন্ট্রোল পিল বা গর্ভনিরোধক ওষুধই গর্ভধারণ রোধ করার ১০০ শতাংশ গ্যারান্টি বা প্রতিশ্রুতি দেয় না। তাই কিছু ক্ষেত্রে ওষুধ খাওয়ার পরও প্রেগন্যান্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
৫) বার্থ কন্ট্রোল পিল বা গর্ভনিরোধক ওষুধ খাওয়ার ফলে আপনার পিরিয়ড সাইকেল অনিয়মিত হয়ে যেতে পারে। এর সঙ্গেই গর্ভনিরোধক ওষুধ খাওয়ার ফলে মাথা ঘোরা, বমির মতো সমস্যা হতে পারে।
৬) অপরিকল্পিত গর্ভধারণ রুখতে বার্থ কন্ট্রোল পিল বা গর্ভনিরোধক ওষুধই শেষ কথা নয়। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর হল কপার আইইউডি। এটি ১০ বছর পর্যন্ত প্রেগন্যান্সি রুখতে সক্ষম।
সব শেষে একটা জরুরি কথা! অপরিকল্পিত ভাবে যৌন সঙ্গমের পর প্রথমেই গর্ভনিরোধক ওষুধ না খেয়ে চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।