শাকসবজি খেতে অনেকেই আগ্রহী থাকেন না। আপনি যদি এমন কোনো ব্যক্তি হন তাহলে দেহের কিছু লক্ষণ জেনে নিন। এ লক্ষণগুলো আপনার দেহে দেখা গেলে বুঝবেন আপনার আরো শাকসবজি খাওয়া উচিত।
১. সব সময় ক্ষুধার্ত
আপনি যদি প্রচুর পরিমাণে প্রক্রিয়াজাত খাবার খান এবং শাকসবজি না খান তাহলে তা ‘মাইক্রো-নিউট্রিয়েন্ট ডেফিসিয়েন্সি’ তৈরি করতে পারে। এতে সব সময় ক্ষুধার অনুভূতি দেখা দিতে পারে। শাকসবজি খেলে এ সমস্যা দূর হবে এবং খাওয়ার পর পেটে পূর্ণতার অনুভূতি সৃষ্টি করবে, যা অনেকাংশে স্বস্তি দেবে।
২. অবসন্নতা
খাবারে পর্যাপ্ত শাকসবজি না থাকলে দেহে অবসন্নতা তৈরি হতে পারে। পর্যাপ্ত শাকসবজি খেলে তা থেকে দেহে ফাইটোকেমিক্যাল ও এন্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করবে। এতে মস্তিষ্ক থেকে দূর হবে অবসন্নতার অনুভূতি। পাশাপাশি সিদ্ধান্তহীনতা ও ক্লান্তিভাব দূর করাও সহজ হবে। উপরন্তু শাকসবজি থেকে পাওয়া যাবে নানা পুষ্টিকর উপাদান, যা আপনার উদ্যম বাড়াবে। অনেকেরই প্রচণ্ড চা কিংবা কফির তৃষ্ণা পায়, যা শাকসবজি খাওয়ার ফলে দূর হতে পারে।
৩. ঘন ঘন অসুস্থতা
ভিটামিন ও মিনারেলের অভাবে দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। ফলে আপনি ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। আপনার দেহে যদি পর্যাপ্ত ভিটামিন ও মিনারেল প্রবেশ না করে তাহলে এটি হতে পারে। বেশি করে শাকসবজি খেয়ে দেহের এই ভিটামিন ও মিনারেলের অভাব দূর করলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে। তাই ঘন ঘন অসুস্থ হলে আপনার খাদ্যতালিকাটি পরিবর্তন করুন।
৪. মাল্টিভিটামিন নির্ভরতা
নানা কারণে আপনার যদি মাল্টিভিটামিন খাওয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনার দেহে পর্যাপ্ত ভিটামিনের অভাব রয়েছে। এ ক্ষেত্রে মাল্টিভিটামিনের বদলে পর্যাপ্ত পুষ্টিকর শাকসবজি খাওয়া যেতে পারে। প্রায়ই সাপ্লিমেন্টের তুলনায় ফলমূল থেকে আপনার দেহ দ্রুত ভিটামিন গ্রহণ করতে পারে। তাই মাল্টিভিটামিনের বদলে শাকসবজি খাওয়ায় গুরুত্ব দিন।
৫. ত্বক সমস্যা
দেহে পর্যাপ্ত পুষ্টিকর উপাদানের অভাবে ত্বকে নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়। এসব সমস্যার মধ্যে রয়েছে ব্রণ, চুলকানি, ত্বক ফুলে যাওয়া ও উজ্জ্বলতা নষ্ট হওয়া এবং নানা ধরনের চর্মরোগ। কিছু শাকসবজি যেমন—পালং শাক, শশা, মিষ্টি আলু এসব সমস্যা দূর করতে পারে। এ ছাড়া বাজারে পাওয়া যায়, এমন প্রায় সব শাকসবজিতেই রয়েছে বহু পুষ্টি উপাদান, যা ত্বকের জন্য উপকারী।