আমাদের জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপহার চোখ। দু’চোখ মেলে আমরা পৃথিবীর নানা রঙের আস্বাদ গ্রহণ করি। বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করি। নয়ন ভরে যায় পৃথিবীর সব বৈচিত্র্য দেখে।
তবে বর্তমান জীবনযাপনের মধ্যে আমরা নিজেদের হারিয়ে ফেলেছি। এই জীবনযাত্রায় এমন কিছু ভুলত্রুটি রয়েছে যা আমাদের রোজ ক্ষতি করে দিচ্ছে। সেই তালিকায় রয়েছে চোখও।
কোভিড ১৯ আমাদের জীবনে এনেছে নতুন সব অভিজ্ঞতা। এই বিশেষ সময়টায় গোটা দেশ জুড়ে চলে লকডাউন। সব হয়ে যায় স্তব্ধ! তবে কাজ বন্ধ রাখলে চলবে কি করে! তাই বাড়ি বসে কম্পিউটারে মুখ গুঁজে শুরু হয়ে গেল কাজ। এভাবে কাজ করার সুবাদেই চোখের ১২টা বাজতে শুরু করল। তবে শুধু ডিজিটালাইজেশনকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। এছাড়াও হাজার সমস্যা মানুষের মধ্যে রয়েছে। আসুন সেই সকল সমস্যাগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
খাদ্যাভ্যাসে ভুলভ্রান্তি
দৃষ্টি ভালো রাখতে চাইলে খাদ্যাভ্যাস রাখতে হবে দারুণ। কারণ খাবারের মধ্যে এমন কিছু মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস থাকে যা চোখ ভালো রাখে। তবে আমরা সেসবের তোয়াক্কা করি না। খাবার খাওয়ায় থাকে না কোনও মাপ। বাইরের আজেবাজে খেয়ে বাঁচি। যদিও বিজ্ঞান বলছে, চোখ ভালো রাখতে চাইলে ভিটামিন সি, জিঙ্ক, লুটেন, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, জিয়েক্সানথিন থাকা খাবার বেশি করে খেতে হবে। এক্ষেত্রে মওশুমি ফল, শাক, সবজি বেশি করে খেতে হবে। তবেই চোখ থাকবে ভালো।
প্রোটেকটিভ চশমা না পরা
বাইরে রয়েছে দূষণ, আর বাড়িতে রয়েছে কম্পিউটার। এই দুই কারণে চোখের ১২টা বাজে। সেক্ষেত্রে আপনার চোখে পরতে হবে প্রোটেকটিভ চশমা। এই ধরনের চশমা চোখে চাপ কম ফেলে।
চোখ রগড়ানো
আমাদের মধ্যে বহু মানুষ প্রায়ই চোখ রগড়ান। যদিও এভাবে চোখ রগড়ালে আদতে চোখেরই ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেক্ষেত্রে দেখা দেবে সমস্যা। এমনকী লাগতে পারে চোখের অন্দরে আঘাত। তাই চোখ রগড়ানোর অভ্যাস আজই ছাড়ুন।
চোখকে বিশ্রাম না দেওয়া
চোখের দরকার বিশ্রাম। কারণ এগনাগাড়ে কম্পিটউটার, মোবাইল, টিভির দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখে পড়ে চাপ। হতে পারে চোখে ব্যথা, জ্বালা, ড্রাই আই ইত্যাদি সমস্যা। তাই এভাবে একনাগাড়ে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা যাবে না। বরং একটু চোখের জন্য সময় বের করুন। চোখ বন্ধ রাখুন।
নিয়মিত আই চেকআপ না করা
সমস্যা থাক না থাক আমাদের প্রত্যেকেরই বছরে অন্তত একবার চক্ষু পরীক্ষা করা দরকার। কারণ চোখের অনেক সমস্যা আমরা হয়তো প্রাথমিকভাবে বুঝতে পারি না। কিন্তু পরীক্ষা করলে সেই সমস্যা ধরা পড়ে এবং সমস্যার চিকিৎসা করা সম্ভব হয়। তাই বছরে ১ বার চোখের টেস্ট মাস্ট।