অনেক যত্নের পরও ঠিক রাখা যায়না ত্বককে। এর উপায় অবশ্য রয়েছে। একটি মাত্র উপাদান দিয়েই ত্বকের সকল সমস্যার প্যাক বানানো সম্ভব। তবে এ ক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজন হবে পেঁপে। চলুন এবার তাহলে ত্বকের যত্নে পেঁপের ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
ত্বক উজ্জ্বল করতে: গায়ের রং প্রাকৃতিকভাবেই উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। এ জন্য প্রথমেই বেছে নিন একটি পাকা পেঁপে। পেঁপেটা ভালো করে চটকে নিয়ে আধকাপের মতো করে নিন। এতে গোটা একটা পাতিলেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি পুরো মুখে, গলায়, হাতে মেখে প্রায় আধঘণ্টা রাখুন। এরপর ঠাণ্ডা জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন।
গোড়ালির ফাটাভাব কমাতে: এখন অনেকেরই বাড়ির কাজ করতে হয়। এ কারণে পায়ের উপরেও বেশ চাপ পড়ছে। যার জন্য গোড়ালির চামড়া বিশ্রীভাবে ফেটে যাচ্ছে। পেডিকিওর করানোর কোনো সুবিধা না থাকলে ফাটা গোড়ালির জন্য ব্যবহার করতে পারেন পাকা পেঁপে। পেঁপেকে প্রথমে চটকিয়ে নিয়ে গোড়ালির ফাটা জায়গায় ভালো করে লাগিয়ে নিন। বিশ মিনিটের মতো রেখে হালকা উষ্ণ জলে ধুয়ে নিন। গোড়ালির ফাটা ঠিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত হিসেবে শুকনো চামড়া, চুলকানি বা লালচেভাবও কমে যাবে আপনার। পা ভালো করে ধুয়ে কিছুটা অলিভ অয়েল মেখে নিন।
দাগছোপের উপশম: মুখে ব্রণের দাগ থেকে শুরু করে হাঁটু বা কনুইয়ের কালচেভাব- এসকল সমস্যার সমাধানে পেঁপে অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এ জন্য কাঁচা পেঁপে প্রয়োজন। ব্লেন্ডারে দিয়ে পেঁপের টুকরো ভালো করে থেঁতো করুন, এরপর এতে এক চা চামচ পাতিলেবুর রস মেশান। মিশ্রণটা এবার কনুই আর হাঁটুতে লেপে নিন। সঙ্গে ব্রণের দাগের উপরও লাগাতে পারেন। মিশ্রণ শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিন। নিয়মিত কয়েকবার এই মিশ্রণ লাগালে দাগ কিছুটা কমতে শুরু করবে।
ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে: পেঁপেতে থাকা আলফা হাইড্রক্সিল অ্যাসিড মুখে বয়সের দাগছোপ পড়তে দেয় না। ত্বকের সূক্ষ্ম রেখা ও বলিরেখাকে কাছেই ঘেষতে দেয় না। এছাড়াও পেঁপেতে থাকা ভিটামিন-সি এবং ই ত্বককে তরতাজা করে তোলে। এ জন্য আধকাপ পাকা পেঁপে চটকে তাতে এক টেবিল চামচ দুধ আর অল্প মধু ভালো করে মিশিয়ে মুখে ও গলায় লেপে দিন। প্রায় বিশ মিনিটের মতো রাখার পর ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এভাবে সপ্তাহে দু’বার ব্যবহার করলে নিজেই ফলাফল বুঝতে পারবেন।