শীতকালে অনেকেরই হাত-পা অতিরিক্ত মাত্রায় ঘামে। আর ঘামে ভিজে থাকা পায়ে দ্রুত ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে শুরু করে। এই ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবেই পায়ে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। পায়ে থাকা মোজা ঘামে ভিজে গিয়ে এই দুর্গন্ধ বেশি ছড়ায় এবং অনেকক্ষণ দুর্গন্ধ আটকেও রাখে। শুধু মোজাই নয় অনেকের জুতাও দুর্গন্ধ হয়ে যায়। যারা এই সমস্যা ভোগেন, তাদের অনেকেই মোজা এবং জুতায় পাউডার বা পারফিউম দিয়ে ব্যবহার করেন। কিন্তু তাতেও খুব একটা লাভ হয় না। তবে কিছু উপায় আছে, তা দিয়ে এই অস্বস্তিকর সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
এবার মোজা ও জুতা থেকে দুর্গন্ধ দূর করার বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক…
লবণ জলের ব্যবহার
লবণ জল পায়ে ছত্রাক বা ফাঙ্গাসের আক্রমণ ঠেকাতে সাহায্য করে। নিয়মিত লবণ জলের ব্যবহারে অতিরিক্ত মাত্রায় পা ঘেমে যাওয়ার সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। এর জন্য প্রতিদিন বাড়িতে ফিরে সামান্য উষ্ণ জলে আন্দাজ মতো লবণ মিশিয়ে তাতে অন্তত বিশ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এতে পা ঘামার সমস্যা দূর তো হবেই, একই সঙ্গে আপনার পা ছত্রাকের আক্রমণ থেকেও রক্ষা পাবে।
বেকিং সোডার ব্যবহার
পায়ের অতিরিক্ত ঘাম এবং দুর্গন্ধের হাত থেকে রক্ষা পেতে কাজে লাগাতে পারেন বেকিং সোডা। বেকিং সোডার অ্যাসিডিক উপাদান পা পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে এবং পায়ে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতেও দেয় না। যার কারণে পা অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়া বা পায়ে বিশ্রী দুর্গন্ধ হওয়ার সমস্যা আর থাকে না। এর জন্য প্রথমে পা দুটো পরিষ্কার করে পায়ে সামান্য বেকিং সোডা ভাল করে ঘষে নিন। এর ফলে পায়ে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া এবং এ থেকে দুর্গন্ধ সবই বন্ধ হবে। চাইলে জুতার মধ্যেও খানিকটা বেকিং সোডা ছড়িয়ে নিতে পারেন। এতেও
উপকার পাবেন।
পায়ে অতিরিক্ত ঘাম আর দুর্গন্ধ হওয়ার হাত থেকে বাঁচতে হলে আরও কয়েকটি নিয়ম মেনে চলা জরুরি। যেমন…
* সুতির মোজা ব্যবহার করুন।
* নিয়মিত পা পরিষ্কার রাখুন। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে গরম জলে একটু লবণ ফেলে ভাল করে পা ধুয়ে নিন।
* যাদের এমন সমস্যা হয়, তাদের ঘন ঘন চা বা কফি না খাওয়াই ভাল।
* স্পাইসি বা মশলাদার খাবার-দাবার এড়িয়ে চলুন।
* মাঝে মধ্যে জুতাগুলো রোদে দিন।
* ভাল করে পা মুছে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন।
* সপ্তাহে অন্তত একবার জুতার ভিতরে সুগন্ধি পাউডার লাগিয়ে ভাল করে কাপড় দিয়ে মুছে নিন।
* একই মোজা দু’দিনের বেশি ব্যবহার করবেন না।