এই ঠান্ডায় জয়েন্টের ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন যেভাবে, জেনেনিন

শীতকালে মানুষের ব্যথা-বেদনা বাড়ে। শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা শুরু হয়। সাধারণত হাঁটু-গোড়ালি, কবজি-কনুই, কোমর কিংবা পিঠের ব্যথায় মানুষ বেশি কষ্ট পায়। হাঁটা-চলা করতে গিয়ে পড়েন সমস্যায়। তাই অবহেলা না করে শীতের শুরু থেকেই সতর্ক হওয়া জরুরি। এর জন্য শুধু ওষুধের উপর নির্ভরশীল না হয়ে প্রাকৃতিক কিছু পদ্ধতি রয়েছে যা জয়েন্টের এই ব্যথা দূর করতে সক্ষম, সেই পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়।

এবার জেনে নিন জয়েন্টের ব্যথা দূর করার কয়েকটি সহজ উপায়…

লবণ জলের সেঁক
ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সমৃদ্ধ লবণ যে কোন ব্যথার উপশমে খুবই কার্যকরী! ছোট এক কাপ লবণ জলের মধ্যে গুলে নিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার সেটি ফুটিয়ে ব্যথার জায়গায় ৩০-৪০ মিনিট ধরে সেঁক দিন। এভাবে নিয়মিত সেঁক দিলে জয়েন্টের ব্যথায় দ্রুত উপকার পাওয়া যাবে।

ঠাণ্ডা-গরম সেঁক
গরম জল ‘হট ওয়াটার ব্যাগ’-এ করে ব্যথার জায়গায় ৫ মিনিট সেঁক দিন। জায়গাটা গরম হয়ে উঠলে সেখানে বরফ ঘষে মালিশ করুন। এই পদ্ধতিতে মোটামুটি ৩০ মিনিট গরম-ঠাণ্ডা সেঁক দিন। দেখবেন, জয়েন্টের ব্যথা অনেকটাই কমে গেছে।

মেথি
যে কোন জ্বালা-যন্ত্রণা দ্রুত কমাতে মেথি খুবই কার্যকরী। জয়েন্টের ব্যথায় কষ্ট পেলে নিয়মিত সামান্য উষ্ণ জলে মেথি ভিজিয়ে খেয়ে দেখুন। সারারাত এক গ্লাস জলে মেথি ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে ওই মেথি ভেজানো জল খেলেও জয়েন্টের ব্যথায় দ্রুত উপকার পাওয়া যাবে।

হলুদ আর আদার মিশ্রণ
২ কাপ জলের সঙ্গে কিছুটা হলুদ আর সমপরিমাণ আদা ফুটিয়ে নিন। ফুটে যখন মোটামুটি আধা কাপের মতো হবে তখন নামিয়ে নিন। হলুদ-আদার ওই মিশ্রণে ১ চামচ মধু মিশিয়ে নিন। দিনে অন্তত ২ বার এই দ্রবণ খেতে পারলে পেইন কিলার ছাড়াই জয়েন্টের ব্যথা অনেকটাই কমবে।

মরিচ গুঁড়া আর নারিকেল তেলের মিশ্রণ
চিকিৎসকদের মতে, জয়েন্টের ব্যথা কমাতে ক্যাপসাইসিন খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। লাল মরিচে প্রচুর পরিমাণে ক্যাপসাইসিন রয়েছে। আধাকাপ নারিকেল তেলে ২ চামচ মরিচ গুঁড়া মিশিয়ে ব্যথার জায়গায় অন্তত বিশ মিনিট মালিশ করুন। এরপর উষ্ণ জল দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। দিনে অন্তত ২ থেকে ৩ বার এই পদ্ধতিতে মালিশ করলে জয়েন্টের ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।

পিপারমিন্ট আর ইউক্যালিপটাস তেল
ব্যথা-বেদনা নিরাময়ের ক্ষেত্রে পিপারমিন্ট এবং ইউক্যালিপটাস তেল অত্যন্ত কার্যকরী! ৫-৬ ফোটা পিপারমিন্ট আর ইউক্যালিপটাস তেলের সঙ্গে নারিকেল, ওলিভ বা আমন্ড তেল মিশিয়ে ব্যথার জায়গায় নিয়মিত মালিশ করলে জয়েন্টের ব্যথায় দ্রুত আরাম পাওয়া যায়।

গাজর-লেবুর মিশ্রণ
দুটি মাঝারি ধরনের গাজরের রস করে তার মধ্যে কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে ওই মিশ্রণ খালি পেটে খেয়ে নিন। নিয়মিত এই মিশ্রণ খেলে দ্রুত জয়েন্টের ব্যথায় উপকার পাওয়া যাবে।