শুধু রান্নার মশলা নয়, ভেষজ ওষুধ হিসাবেও দীর্ঘদিন ব্যবহৃত হয়ে আসছে রসুন। স্বাস্থ্যকর খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম এটি। নানা পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ এই খাবারটির স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা বলাই বাহুল্য।
হার্টের সমস্যা, যকৃতের সমস্যা এবং টাক সমস্যার সমাধানে রসুনের জুড়ি মেলা ভার। শুধু তাই নয়, ঠাণ্ডা সমস্যায়, শ্বাসযন্ত্রের জটিলতা দূর করতে, ধমনী পরিষ্কার রাখতে এবং রক্তকে বিশুদ্ধ করতের ভূমিকা রাখে রসুন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, কাঁচা রসুনের স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক বেশি।
ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ অ্যান্ড মেডিক্যাল সাইন্সের এক গবেষণায় রসুনের বিভিন্ন গুণাবলী প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক গুণাগুণ থাকার কারণে রসুন কাচায় চিবিয়ে খেলে তা অনেক কার্যকরী। কেননা এতে অ্যালিসিন নামে এক স্বাস্থ্যকর উপাদান রয়েছে। রান্না করলে এই উপাদানটি নষ্ট হয়ে যায়। কাজেই এটি কাচায় চিবিয়ে খাওয়াই ভালো।
কিন্তু অনেকেই আছেন যারা মুখে দুর্গন্ধের ভয়ে কাঁচা রসুন থেকে দূরে থাকেন। তারা বালিশের নিচে রেখে দিন এক কোয়া রসুন। এতে স্বাস্থ্য সুরক্ষার পাশাপাশি ভালো ঘুম হবে।
রসুন প্রাকৃতিক অ্যান্টি-বায়োটিক হিসেবে কাজ করে। গবেষণা বলছে, খালি পেটে রসুন খেলে তা শক্তিশালী অ্যান্টি-বায়োটিকের কাজ করে। সকালের নাশতার আগে রসুন খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়। কেননা, এই সময় রসুন খেলে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের ক্ষমতা অনেক কমে যায়।
এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, লিভার, পিত্তথলি ও পাকস্থলী ভালো রাখতে, হজমশক্তি বাড়াতে, চাপ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখে এটি। পাশাপাশি ডায়াবেটিস, বিষণ্ণতা এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধেও উপকারী রসুন। তবে অ্যালার্জির সমস্যা হলে সেক্ষেত্রে রসুন এড়িয়ে চলাই ভালো।
কখনও কখনও অবশ্য এমনটাও শুনতে পাওয়া যায়, বালিশের নিচে এক টুকরো রসুন রেখে ঘুমালে রাতে ভালো ঘুম হয়। কেউ কেউ অবশ্য সৌভাগ্যের আশায় পকেটে রসুন রাখেন। কেউবা নিজের প্রফুল্লতা ধরে রাখতেও সঙ্গে রসুন রাখেন।
যাই হোক না কেন, অ্যালার্জি কিংবা মুখে দুর্গন্ধ যেটাই হোক না কেন সবার জন্যই সমাধান কিন্তু একটাই। তা হলো বালিশের নিচে এক কোয়া রসুন রাখা। রসুন বালিশের নিচে রাখলে দেখবেন সব হতাশা এবং নেতিবাচক মানসিকতা ভুলে গিয়ে রাতে আপনার ঘুম অনেক গভীর হবে। কাজেই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় একবার চেষ্টা করে দেখতে দোষ কোথায়?