হাই তোলা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি খারাপ? জেনেনিন বিস্তারিত

যত্রতত্র হাই তোলা সত্যিই খুব বিরক্তিকর! অনেকেই মনে করেন হাই তোলা মানে শরীর আড়ষ্ঠ হওয়া, শরীর দুর্বল হওয়া, শরীর কাজের মধ্যে নেই অথবা রেস্টের প্রয়োজন। কিন্তু হাই তোলার উপকারী দিকও যে আছে তা অনেকের কাছেই অজানা।

এবার জেনে নেই হাই তোলার উপকারী দিকগুলো সম্পর্কে–

১. গবেষণায় দেখা গেছে যে, হাই তোলা মস্তিষ্কের উত্তেজনা প্রশমিত করে মস্তিষ্ককে শিথিল করার পাশাপাশি মানসিক দক্ষতাও বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। হাই তোলা স্নায়ুতন্ত্রের উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। এর ফলে মস্তিষ্কের রক্ত প্রবাহ বা রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।

২. হাই তুললে চোখের পাশের অশ্রুগ্রন্থির উপর চাপ পরে। ফলে চোখ জলে ভিজে ওঠে। এতে চোখ পরিষ্কার হয় এবং একই সঙ্গে দৃষ্টি হয় স্বচ্ছ।

৩. হাই তোলার ফলে শরীরে অনেক বেশি অক্সিজেন প্রবেশ করে। যখন আমরা হাই তুলি, তখন ফুসফুসে অক্সিজেন প্রবেশ করে এবং ফুসফুস থেকে খারাপ বায়ু বা কার্বন ডাই অক্সাইড দ্রুত বের হয়ে যায়। এর ফলে মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সঞ্চালন এক ধাক্কায় অনেকটাই বৃদ্ধি পায়।

৪. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ও অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দাবি, হাই আমাদের শরীর এবং মস্তিষ্কের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। গ্রীষ্মকালে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা শীতকালের তুলনায় অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই গ্রীষ্মকালে অনেক বেশি হাই ওঠে।

৫. হাই তুললে মুখের ও বুকের মাংসপেশি প্রসারিত হয়। দীর্ঘক্ষণের শরীরের জড়তা বা আড়ষ্ঠতা এক মুহূর্তে উধাও হয়ে যায়।

৬. বিমান, এলিভেটর বা লিফটে করে উচ্চতায় ওঠার সময় অনেকের কানে ব্যথা, অস্বস্তি ও শ্রবণের নানা রকম সমস্যা হতে পারে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে কানে তালা লেগে যাওয়ার ভাব হয়। এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে হাই তোলার মাধ্যমে। গবেষকদের মতে, যখন উচ্চতার দ্রুত পরিবর্তন হতে থাকে, সেই সময় হাই তোলা কানের বায়ুর চাপের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে।