শরীর কে ভালো রাখতে চাইলে এই খাবার গুলো থেকে দূরে থাকুন,বিস্তারিত জেনেনিন

শারীরিক সুস্থতার উপর খাদ্যাভ্যাস অনেকখানি অংশ জুড়ে রয়েছে। যত বেশি উপকারী ও স্বাস্থ্য সম্মত খাবার খাওয়া সম্ভব হবে, ততই সুস্থ থাকা যাবে। এক্ষেত্রে আমরা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের উপরে নির্ভর করি সবচেয়ে বেশি। কিন্তু যারা পরামর্শ দিচ্ছেন, তারা কোন খাবারগুলো এড়িয়ে যান সেটা সম্পর্কেও তো জানা প্রয়োজন।

আর্টিফিসিয়াল সুইটনার
চিনির পরিবর্তে চা বা কফিতে কৃত্রিম সুইটনার ব্যবহার করছেন কি? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পুষ্টিবিদ চেলসি আমের, আরডি জানান, নিজে চিনি ও আর্টিফিশিয়াল সুইটনার উভয়ই গ্রহণ থেকে বিরত থাকেন। বেশ কিছু গবেষণা থেকে জানা যায় ডায়াবেটিস বান্ধব খাবারে যে সকল আর্টিফিশিয়াল সুইটনার ব্যবহার করা হয় তা ওজন বৃদ্ধিতে ও হৃদরোগ তৈরির জন্য দায়ী।

সসেজ
অনেক বাসাতেই ছোট-বড় সবার প্রিয় নাশতার মধ্যে সসেজ থাকেই। মাখনে হালকা ভেজে নিলেই সসেজ খেতে দারুণ ভালো লাগে। কিন্তু এই সসেজকে নিজেদের খাদ্যাভ্যাস থেকে সরিয়ে রেখেছেন অনেক পুষ্টিবিদেরাই। ক্যালিফোর্নিয়ার পুষ্টিবিদ অ্যান্ডি ডি স্যান্টিস, আরডি জানাচ্ছেন, সসেজে উপকারী ও প্রয়োজনীয় প্রাণীজ প্রোটিনের চাইতে ক্ষতিকর ফ্যাটের পরিমাণ থাকে তুলনামূলক অনেকখানি বেশি। এছাড়া এতে অনেক বেশি পরিমাণে সোডিয়ামের উপস্থিতি থাকে, যা হৃদযন্ত্রের জন্য কোনভাবেই ভালো নয়। এছাড়া বেশ কিছু গবেষণা থেকে পাওয়া গেছে, এই প্রসেসড খাবারটি ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। তাই কোনভাবেই সসেজ খাদ্যাভ্যাসের অংশ হওয়া উচিত নয় বলে জানান অ্যান্ডি।

পনির
এই তালিকায় পনির দেখে কষ্ট পাবেন অনেকেই। কিন্তু পুষ্টিবিদ অ্যান্ডি এই তালিকায় পনিরকে রাখতে চান। কারণ পনির থেকে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় খুবই অল্প মাত্রায় এবং অন্যান্য বহু উপকারী খাদ্য থেকে আরও বেশি ক্যালসিয়াম পাওয়া সম্ভব। এদিকে ফ্যাক্টরিতে প্রক্রিয়াজাত পনিরে উপকারী উপাদানের চাইতে ক্ষতিকর উপাদান তথা- উচ্চ মাত্রার ক্যালোরি, স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও সোডিয়াম থাকে বেশি পরিমাণে।

ইন্সট্যান্ট/ রামেন নুডলস
ক্ষুধা পেলে অল্প সময়ে, ঝামেলাহীন ভাবে সুস্বাদু কোন খাবার তৈরি করতে চাইলে ইন্সট্যান্ট নুডলসই ভরসা। কিন্তু সার্টিফায়েড স্ট্রেনথ অ্যান্ড কন্ডিশন স্পেশালিস্ট র‍্যাচেল স্টার্ব, এমএস জানাচ্ছেন, ক্ষতিকর এই খাবারটি এড়িয়ে গেলে শরীর নিজ থেকে অনেকটা সুস্থ ও ভালো বোধ করবে। ইন্সট্যান্ট নুডলসের প্রধান সমস্যাটি হল এতে অতিরিক্ত পরিমাণ সোডিয়ামের উপস্থিতি। যা কোনভাবেই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো তো নয়ই, বরং বহু ক্ষতির কারণ।

কোমল পানীয়
সকল কোমল পানীয়ই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং এই তথ্যটি কমবেশি সকলেরই জানা। যতই রিফ্রেশিং কিংবা সুস্বাদু হোক না কেন, সকল ধরণের কোমল পানীয় সম্পূর্ণভাবে বর্জন করা খুবই জরুরি বলে জানান পুষ্টিবিদ চেলসি। এতে থাকা অত্যাধিক পরিমাণ চিনি সহজেই রক্তে চিনির মাত্রা বৃদ্ধি করে। যা থেকে ওবেসিটি, ডায়াবেটিস, হৃদরোগের মত গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেওয়া শুরু হয়।

ক্যানড ফ্রুটস
প্রাকৃতিকভাবেই ফল মিষ্টি স্বাদের হয়ে থাকে। কিন্তু ক্যানড ফ্রুটসের ফলে বাড়তি চিনি, সিরাপ ও কেমিক্যাল যোগ করা হয়। যা সহজেই ফলগুলো স্বাস্থ্য উপকারিতা নষ্ট করে সেগুলোকে অস্বাস্থ্যকর করে তোলে। তাই ফল খেতে চাইলে সহজলভ্য ও ফ্রেশ ফলের দিকেই ঝুঁকতে হবে।

RS