প্রতিদিন মুখের ত্বক পরিষ্কারের জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফেস ওয়াশ। শুষ্ক, মিশ্র, তৈলাক্ত, স্পর্শকাতর কিংবা স্বাভাবিক ত্বকের জন্য বিভিন্ন ধরণের ফেস ওয়াশের সন্ধান পাওয়া যাবে। কিন্তু বোতলজাত এই সকল পণ্যে থাকা কেমিক্যাল একটা নির্দিষ্ট সময় পর ঠিকই ত্বকে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে দেয়। সেক্ষেত্রে প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি ফেস ওয়াশের ব্যবহার সবচেয়ে উপকারে আসে। হাতের কাছে থাকা কিছু উপাদানই প্রাকৃতিক ফেস ওয়াশ হিসেবে কাজ করবে।
নারিকেল তেল ফেস ওয়াশ
নারিকেল তেলের প্রাকৃতিক শক্তি খুব সহজেই ত্বকের উপরিভাগে থাকা ধুলা ও দূষণকে দূর করে। সেই সাথে ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ততা দূর করে স্বাভাবিক আর্দ্রতাভাব বজায় রাখতেও কাজ করে।
নারিকেল তেল ব্যবহারের জন্য কয়েক ফোঁটা তেল ত্বকের অ্যাপ্লাই করে অন্তত ৩০-৬০ সেকেন্ড পর্যন্ত ম্যাসাজ করতে হবে। এরপর পুরো মুখ কুসুম গরম তোয়ালেতে ঢেকে ১৫-৩০ সেকেন্ড অপেক্ষা করতে হবে। এরপর তোয়ালের সাহায্যে আলতোভাবে তেল সরিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
অ্যাপল সাইডার ভিনেগার ফেস ওয়াশ
যাদের ত্বক ভীষণ স্পর্শকাতর ও সহজেই ব্রণের সমস্যা দেখা দেয় তাদের জন্য এই ভিনেগারটি ব্যবহার খুব উপকারে আসবে। অ্যাপল সাইডার ভিনেগারের pH এর মাত্রা ত্বকের pH মাত্রার খুব কাছাকাছি হওয়ায় পরস্পরের সাথে খুব ভালোভাবে কাজ করে।
ব্যবহারের জন্য ১:২ পরিমাণ অ্যাপল সাইডার ভিনেগার ও জল মেশাতে হবে। একটি বোতলে মিশ্রণটি খুব ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে ত্বকের ব্রণযুক্ত স্থানে ম্যাসাজ করতে হবে তুলার বলের সাহায্যে। এরপর স্বাভাবিকভাবে বাতাসে ত্বক শুকাতে দিতে হবে। শুকিয়ে আসলে মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
লেবু ও মধুর ফেস ওয়াশ
এই দুইটি প্রাকৃতিক উপাদানকে একসাথে মেশানো হলে দারুণ অ্যান্টিসেপটিক ও ময়েশ্চারাইজিং ফেস ওয়াশ তৈরি হয়। যা ত্বকের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার পাশাপাশি ত্বকের মৃত কোষের উৎপাদনকেও স্লথ করে আনে।
ব্যবহারের জন্য এক চা চামচ লেবুর রস ও দুই চা চামচ মধু মেশাতে হবে। মিশ্রণটি পুরো মুখে সমানভাবে অ্যাপ্লাই করতে হবে। মুখের সঙ্গে গলায় ও ঘাড়েও অ্যাপ্লাই করা যাবে। এরপর অপেক্ষা করে শুকিয়ে আসলে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।