ডিমের কোন জিনিস তা খেলে ভালো কাজ করে ? জেনেনিন বিস্তারিত

সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর, উপকারী ও পুষ্টি সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদানের মাঝে প্রথম সারিতেই থাকবে ডিম। সকালের নাশতায় একটি ডিম সারাদিনের শক্তি জোগাতে যথেষ্ট। যেখানে সুস্থ থাকা নির্ভর করে খাদ্যাভ্যাসের উপর, সেখানে ডিমের উপস্থিতি থাকা অনেকটাই বাধ্যতামূলক।

ডিমের সবচেয়ে উপকারী দিকটি হল, এটা রক্তে উপকারী কোলেস্টেরলের (HDL-High Density Lipoprotien) মাত্রা বৃদ্ধি করে। একটি ডিম থেকে ২১২ মিলিগ্রাম পরিমাণ উপকারী এই কোলেস্টেরল পাওয়া যাবে। এই কোলেস্টেরলকে কেন ভালো বলা হচ্ছে? কারণ হৃদরোগ ও স্ট্রোকের মত গুরুতর শারীরিক সমস্যা রোধ করতে কাজ করে HDL.

এছাড়া ডিমে থাকা প্রোটিনের কথা না বললেই নয়। আমাদের শরীরের পেশী গঠনে, শক্তি প্রদানে প্রোটিন অপরিহার্য। আর এই প্রোটিনের চমৎকার উৎস হল ডিম। একটি মুরগীর ডিম থেকে ৬ গ্রাম পরিমাণ প্রোটিন পাওয়া সম্ভব। যা পেশির পাশাপাশি হাড়ের দৃঢ়তা রক্ষাতেও কাজ করবে।

কিন্তু আজকের ফিচারের মূল বিষয়টি ছিল ডিম কোন উপায়ে খাওয়া বেশি স্বাস্থ্যকর? ডিম পোচ নাকি ডিম সেদ্ধ?

এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন ডিম পোচের চাইতে ডিম সেদ্ধ তুলনামূলক স্বাস্থ্যকর এবং প্রতিদিন ডিম খাওয়ার জন্য সেদ্ধ করে খাওয়ার উপায়টি হবে সবচেয়ে সঠিক।

কারণ ডিম পোচ করতে তেলের প্রয়োজন হয়। যা ডিমের সামগ্রিক ক্যালোরিকে বাড়িয়ে দেয়। যেহেতু বাড়তি তেল গ্রহণ কখনোই স্বাস্থ্য সম্মত নয়, তাই যত স্বল্প পরিমাণ তেলেই ডিম পোচ করা হোক না কেন, ডিম কিছু পরিমাণে তার স্বাস্থ্য উপকারিতা হারায়। তবে তেল ব্যতীত গরম জলে ডিম পোচ করে খেলে সে সমস্যাটি থাকবে।

অন্যদিকে সবচেয়ে সহজ ও ঝামেলাবিহীন ডিম প্রস্তুতের ধরণটিই প্রতিদিনের ডিম গ্রহণের জন্য সবচেয়ে সমাদৃত। বিশেষত যারা ওজন কমাতে চাচ্ছেন তাদের জন্য ডিম সেদ্ধটাই হবে উপযুক্ত। এছাড়া যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তাদেরও সেদ্ধ ডিম খাওয়া প্রয়োজন।