বয়স বাড়তে থাকলে শরীরে মেদ জমার প্রবণতা বাড়ে। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে হার্টের সমস্যা বা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। তাই বয়স ৩০ পেরোলেই খেয়াল রাখা প্রয়োজন ডায়েটে। কিছু খাবার এড়িয়ে চললে বয়স বাড়লেও ধরে রাখতে পারবেন স্বাস্থ্য। কমবে ঝুঁকিও।
f
প্রোটিন ও এনার্জি বার: এই ধরনের বার প্রোটিন ও এনার্জি কোনওটারই জোগান দেয় না। বরং এই সব বারে থাকা সর্বিটল, গ্লিসারিন, ফ্রুক্টোজ, ডেক্সট্রোজ শরীরের ক্ষতি করে।
হোয়াইট ব্রেড: রিফাইন্ড ফ্লাওয়ার দিয়ে তৈরি যে কোনও খাবারই শরীরের পক্ষে খারাপ। তাই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডায়েট থেকে হোয়াটইট ব্রেড বাদ দেওয়াই ভাল।
ওরেও: সবচেয়ে অস্বাস্থ্যকর কুকি ওরেও ক্যালোরি ও ফ্যাটে পরিপূর্ণ। ৩০-এর পর শরীরে মেদ জমার প্রবণতা বাড়ে। তাই কুকিজ যত কম খাওয়া যায় ততই ভাল।
বাটার পপকর্ন: পপকর্ন স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস হলেও অ্যাডেড ফ্লেভার ও ফ্যাট আর্টারি ব্লক করে দিতে পারে।
মার্জারিন: মার্জারিনে থাকে হাইড্রোজেনেটেড অয়েলের মতো ট্রান্স ফ্যাট যা আর্টারি ব্লক করে। ক্ষতি করে ত্বকেরও।
প্রসেসড মিট: বেকন, হ্যাম, সালামি, সসেজ বেশি খেলে ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয়। এই সব খাবারে নাইট্রাইট ও নাইট্রেট থাকে যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়ায়। যা ত্বকে কোলাজেন ও ইলাসটিনের মাত্রা কমিয়ে দেয়।
সুগার ফ্রি স্ন্যাকস: সুগার ফ্রি স্ন্যাকস খেয়ে ওজন কমানো যায় না। বরং আর্টিফিশিয়াল সুইটেনার আমাদের শরীরের স্বাভাবিক কার্যকারিতায় ব্যাঘাত ঘটায়।
আইসড কফি: ক্যাফেনেটেড ড্রিঙ্ক ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়। ফলে চেহারায় ক্লান্তি ও বয়সের ছাপ পড়ে। কফি খেতে হলে গরম কফি খাওয়াই ভাল।
ক্যানড স্যুপ: উচ্চ রক্তচাপের কারণে চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে। ক্যানড স্যুপে থাকে প্রচুর পরিমাণ সোডিয়াম। যা রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়।
বিয়ার ও ককটেল: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরের পক্ষে অ্যালকোহল মেটাবলিজম কঠিন হয়ে পড়ে যা অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। ঘুমে ব্যাঘাত ঘটানোর ফলে ওজন বাড়ে। অন্য দিকে অ্যালকোহল ত্বক ডিহাইড্রেট করে দেয়।