বিভিন্ন ধরণের রান্নায় সয়াবিন তেল, সরিষার তেল, অলিভ অয়েল কিংবা রাইস ব্রান অয়েল অহরহ ব্যবহার করা হলেও নারিকেল তেল ব্যবহার করার কথা ভাবেন না কেউ।
ত্বক কিংবা চুলের যত্নের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকে নারিকেল তেলের ব্যবহার। তবে স্বাস্থ্য বিশারদদের মতে, খাদ্য তালিকায় নারিকেল তেল রাখার ফলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পাওয়া, শারীরিক চাপ কমে যাওয়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়া, রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকা, ত্বক ও চুল সুস্থ থাকার মতো ইতিবাচক পরিবর্তনগুলো দেখা দেয়।
ভাবছেন প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কীভাবে নারিকেল তেল যোগ করবেন? চমৎকার তিনটি উপায় জেনে রাখুন।
ব্যবহার করুন বেকিং এ
কেক কিংবা অন্যান্য খাবার বেক করতে নিশ্চয় ভেজিটেবল, অলিভ অয়েল কিংবা সয়াবিন অয়েল ব্যবহার করা হয়। এই সকল তেল ব্যবহারের পরিবর্তে এখন থেকে নারিকেল তেল ব্যবহার করুন। মিষ্টি কোন রান্নায় তো বটেই, ঝাল রান্নাতেও নারিকেল তেলের ব্যবহারে খাবার মজাদার হবে।
পানীয়তে নারিকেল তেল
মাখন অথবা অন্যান্য তেলের পরিবর্তে খুব সহজেই নারিকেল তেল ব্যবহার করা যায়। ইদানিং অনেকেই স্মুদির ক্রিমি টেক্সচার ও স্বাদে ভিন্নতা আনতে অন্যান্য সকল উপাদানের সঙ্গে নারিকেল তেল ব্যবহার করা শুরু করেছে। বিশেষ করে গরম কোন পানীয়র টেক্সচার ঘন ও ক্রিমি করতে চাইলে নারিকেল তেল ব্যবহার সবচেয়ে উত্তম।
ব্যবহার করুন সালাদে
সালাদ ড্রেসিং কিংবা সরিষার তেলের পরিবর্তে নারিকেল তেল দিয়ে সালাদ তৈরি করুন। সালাদের স্বাদে ভিন্নতা আসার পাশাপাশি সালাদের পুষ্টিগুণ বৃদ্ধিতেও সাহায্য করবে নারিকেল তেল।
RS