জেনেনিন ,আপনিও কেমন করে কারো মিথ্যা কথা গুলো ধরতে পারবেন ,দেখেনিন একঝলকে

প্রায় প্রতিদিনই মানুষ কোনো না কোনো প্রয়োজনের খাতিরে মিথ্যা বলেন। যদিও মিথ্যা বলা মহাপাপ। কিছু কিছু মিথ্যা অন্যের কোনো ক্ষতি করে না। যে কোনো খারাপ পরিস্থিতি এড়াতেও অনেক সময় মিথ্যা বলতে হয়।

তবে অনেকেই অকারণে ঘন ঘন মিথ্যা বলেন। যা এক সময় তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়। আর এভাবেই একের পর এক মিথ্যার আশ্রয় নিতে গিয়ে অন্যের ক্ষতি করে বসেন। যা মোটেও কাম্য নয়।

এমন ব্যক্তিরা মিথ্যাকে জীবনের সঙ্গী করে নেন। তবে আমাদের সবার মধ্যেই স্বাভাবিক প্রবণতা থাকে, অন্যদের মিথ্যা ধরার। কেউ আপনাকে মিথ্যা বলছেন কি না, তা বুঝতে পারলে এক অন্য রকম তৃপ্তি অনুভব করে থাকেন সবাই। তবে বিষয়টি ততটা সহজ নয়।

ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এ বিষয়ে একটি সমীক্ষা চালান। সেখানে কিছু লক্ষণ বলা হয়েছে, যা আমরা অনেক সময়ে উপেক্ষা করে থাকি। একটু মন দিয়ে এসব লক্ষণ টের পেলেই কেউ আপনাকে মিথ্যা বলছে কি না তা সহজেই ধরতে পারবেন। জেনে নিন মিথ্যাবাদীর কয়েকটি লক্ষণ-

> এমন ব্যক্তিরা অসংলগ্ন ও এলোমেলো কথা বলেন। খুব বেশি খুঁটিনাটি নিয়ে কথা বলতে চান না। আসল বিষয়টি আলোচনা না করে অন্য কথা টেনে আনেন বিবৃতিতে। সেই থেকেই বোঝা যায়, কেউ কোনো কথা গোপন করছেন।

> একই বিষয়ে যদি কেউ বারবার ভিন্ন ভিন্ন কথা বলেন, তাহলে বুঝতে হবে তিনি কিছু লুকাচ্ছেন। সময়ের সঙ্গে খানিক স্মৃতিভ্রম সবারই হতে পারে। তবে জরুরি কোনো বিষয়ের ভুল তথ্য বলে যাওয়া মিথ্যা ছাড়া আর কিছুই নয়।

> আমরা যখন কোনো কথা বলি, স্বাভাবিক একটি গতি থাকে কথা বলার। তাতে হঠাৎ বাধা পড়লে খানিক গতিরোধ হতে পারে। তবে কোনো বিষয়ের শুরু থেকেই যদি কেউ চিন্তাভাবনা করে থেমে থেমে কথা বলেন, তাহলে সন্দেহ করতে পারেন।

> বারবার একই শব্দ প্রয়োগ করাও মিথ্যার লক্ষণ হতে পারে। কোনো কথা বলার সময় কেউ যদি একই শব্দ ব্যবহার করেন, তাহলে বুঝতে হবে তিনি কথা খুঁজে পাচ্ছেন না। সেক্ষেত্রে তার মিথ্যা বলার সম্ভাবনা থাকে।

> মিথ্যা বলার সময় স্বাভাবিকভাবেই মানুষ আড়ষ্ঠ হয়ে যান। এ সময় ওই ব্যক্তি নড়াচড়া করেন না। কারণ মিথ্যা বলা খুব সহজ কাজ নয়। একমাত্র প্যাথোলজিক্যালি যারা মিথ্যা বলেন তারা বাদে অন্যরা মিথ্যা বলায় সময় খুব সন্তর্পণে বলার চেষ্টা করেন। ফলে তাদের শরীরী ভাষা বেশি স্থির হয়ে যায়।

> যারা হঠাৎ করেই মিথ্যা বলেন, তাদের গলার স্বরে পরিবর্তন দেখা দেয়। কারণ মিথ্যা বলার সময় অস্বস্তিতে পড়েন তারা। হয়তো কেউ উচ্চস্বরে রেগে গিয়ে কথা বলেন, আবার অনেকে কথা বলার সময় গলার স্বর ক্ষীণ করে ফেলেন। যা মিথ্যা ধরে ফেলার এটি সহজতম উপায়।

> যারা মিথ্যা বলায় পারদর্শী, তারা নিজের মিথ্যাকে সত্য করতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন। ফলে স্বাভাবিক বিষয়ে প্রশ্ন করলেও নানা রকম খুঁটিনাটি বলতে থাকেন। এক কথার পরিপ্রেক্ষীতে বিভিন্ন বিষয় টেনে আনেন তারা।

তবে এসব লক্ষণের উপর ভিত্তি করে কাউকে সন্দেহ করার আগে একটু সচেতন হওয়া প্রয়োজন। কারণ অনেকেই হয়তো বেশি কথা বলেন। তাদেরকে এ দলে ফেলা যাবে না।