নাগরিক ব্যস্ততায় নিজেকে দু’দণ্ড আয়নায় দেখারও ফুসরত মেলে না আমাদের। সেখানে আলাদা করে চুলের যত্ন নেয়ার সময়ই বা কোথায়! তাইতো চুলের সমস্যা লেগেই থাকে সারাবছর। কখনো খুশকি, কখনো রুক্ষ বিবর্ণ চুল কখনো আবার চুল উঠে যাওয়া, সমস্যার যেন শেষ নেই। তবে রোজ খানিকটা একটু করে নজর দিলে চুল সুন্দর হতে সময় নেবে না। চলুন জেনে নেই তেমনই সাতটি উপায়-
চুল পাতলা হলে নিয়মিত ট্রিম করে নিন, তাতে চুল তুলনামূলক ঘন দেখাবে। তিন মাস অন্তর একবার ট্রিম করে নিলে চুল সুস্থ আর সুন্দর থাকবে।
নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল বা সরষের তেল চুলের পক্ষে খুব ভালো কন্ডিশনার। বড়ো চামচের দু-তিন চামচ তেল গরম করে তারপর হালকা ঠান্ডা করে নিন। ঈষদুষ্ণ থাকতে থাকতেই তেলটা চুলের গোড়ায় এবং গোটা চুলে ভালো করে মেখে নিন। শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে ঢেকে সারা রাত রেখে দিন। পরের দিন শ্যাম্পু করে নেবেন। চুল সুন্দর হতে বাধ্য!
যাদের চুল কোঁকড়া আর রুক্ষ, তারা প্রি-কন্ডিশনিং করলে দারুণ ভালো ফল পাবেন। বেশ খানিকটা কন্ডিশনার হাতে নিয়ে সারা চুলে ক্রিমের মতো মেখে নিন। পাঁচ-দশ মিনিট রাখুন, যাতে চুল কন্ডিশনারের আর্দ্রতা আর পুষ্টি শুষে নিতে পারে। তারপর শ্যাম্পু করুন।
যতটা সম্ভব চুল থেকে পানি ঝরিয়ে নিয়ে তারপর মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে জট ছাড়িয়ে নিন। নিচের দিক থেকে আঁচড়াতে শুরু করুন, ধীরে ধীরে উপরদিকে উঠুন।
প্রতিদিন শ্যাম্পু করলে চুলের উপরে স্বাভাবিক তেলের আস্তরণ নষ্ট হয়ে যায়। সপ্তাহে দু-তিনবারের বেশি শ্যাম্পু করবেন না। বেবি শ্যাম্পু ব্যবহার করলে চুল ভালো থাকবে।
নারিকেল তেল, কলা, মেয়োনিজ, ডিম, অলিভ অয়েল, অ্যালো ভেরা, মধু, টক দই দিয়ে বানিয়ে নিন রকমারি হেয়ার মাস্ক। প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেলে চুল স্বাভাবিকভাবেই স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
চুল খোলা অবস্থায় শুলে বালিশের সঙ্গে সমানে ঘষা লেগে চুল উঠে যেতে পারে। এ ছাড়া চুলে জট পড়ে রুক্ষ ও অমসৃণও হয়ে যেতে পারে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে আলগা বিনুনিতে চুল বেঁধে রাখুন।