শরীরের তাপমাত্রা ঠান্ডা রাখতে যা যা খাবেন, দেখেনিন

প্রতিদিনই তাপমাত্রা বাড়ছে। এ সময় হিট স্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। গরমে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এ কারণে বিশেষজ্ঞরা এ সময় ছোট-বড় সবার স্বস্থ্যের উপরই নজর রাখতে বলেন। যেহেতু গরমে শরীরের তাপমাত্রা বিভিন্ন কারণে বেড়ে যায়, তাই কিছু খাবার এ সময় এড়িয়ে যাওয়া উচিত সবারই।

অতিরিক্ত গরমের সময় সঠিক খাদ্যাভ্যাস কেমন হবে এ বিষয়ে ভরতীয় পুষ্টিবিদ ও নিউট্রিটু এর প্রতিষ্ঠাতা ডা. ইতু খোসলা ছাবরা বলেন, ‘যেহেতু বেশিরভাগ ফলই গরমে হয়, তাই এ সময় মৌসুমী ফল খেলেই শরীর থাকবে ঠান্ডা। লেবুর জল অবশ্যই রাখুন দৈনিক, গরমে শরীর ঠান্ডা ও হাইড্রেটেড রাখে এই পানীয়।

কেন শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়?

পেটের ভেতরে অতিরিক্ত হজম হলে পেট গরম হয়ে যায়। উচ্চ-তাপমাত্রার পরিবেশে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে ঘাম। তবে যখন খুব বেশি তাপ থাকে, তখন শরীরের প্রাকৃতিক শীতল ব্যবস্থা অতিরিক্ত কাজ করে। এ অবস্থায় মসলাদার ও ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। পাশাপাশি ক্যাফেইনও এড়ানো উচিত।

তাপ কমাতে কোন খাবার খাবেন?

গরমে পেট ঠান্ডা রাখতে ও গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যা এড়াতে ঠান্ডাজাতীয় খাবার বেশি করে খেতে হবে। যেমন- বেশি জলযুক্ত সবজি লাউ, চালকুমড়া ইত্যাদি গরমে খাওয়ার জন্য চমৎকার খাবার।

এই সবজি পেট ঠান্ডা রাখে ও শরীরের তাপ কমায়। আবার এই সবজি হজমেও সাহায্য করে, আবার পরিপাকতন্ত্রের স্বাস্থ্যও বজায় রাখে। আরও যা যা খাবেন-

>> পেঁয়াজে থাকা কোয়ারসেটিন নামক উপাদান অ্যান্টি-অ্যালার্জেন হিসেবে কাজ করে। এটি আপনাকে সানস্ট্রোক থেকে রক্ষা করতেও উপকারী।

পেঁয়াজের সঙ্গে সালাদে শসা, মুলা ও গাজরও যোগ করতে পারেন। এর সঙ্গে লেবু ও কালো লবণও মিশিয়ে নিন। এই সালাদ পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে, ক্ষুধা ও ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

>> গরমে নিয়মিত ছাতুর শরবত পান করতে পারেন। এটি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি পান করলে আপনি তাৎক্ষণিক শক্তি পাবেন। আবার ছাতুর শরবত কোষ্ঠ্যকাঠিন্য নিয়ন্ত্রণ করে ও গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখে।

>> গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে বেলের শরবতও অনেক উপকারী। এ সময় হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে সাহায্য করতে বেলের শরবত। এটি ফাইবারে পরিপূর্ণ। তবে বেলের শরবত তৈরির সময় এতে চিনি ব্যবহার করবেন না।

>> পুষ্টিবিদ ইতু বলেন, গরমে ফ্রিজের জলের চেয়ে মটকা বা হাঁড়ির জল পান করা ভালো। পাত্রের জল আপনার হজমের জন্য উপকারী। এটি শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে হিট স্ট্রোকের বিপদ কমাতেও সাহায্য করে। মটকার জলে পাওয়া যায় প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল।

>> এছাড়া তরমুজের শরবত, বাটার মিল্ক, টকদই ও শসাও নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখার পরামর্শ এই পুষ্টিবিদ। এসব খাবারে প্রচুর জল থাকে, যা শরীরকে জলশূন্যতার হাত থেকে বাঁচায়। আবার এসব খাবার গ্রীষ্মকালীন পেটের সমস্যা যেমন- ফুলে যাওয়া, গ্যাস, অ্যাসিডিটি ইত্যাদি থেকেও রক্ষা করে।