পুরুষের চেয়েও নারীরা যেসব ব্যথায় বেশি ভোগেন ,দেখেনিন একঝলকে

নানা ধরনের শারীরিক ব্যথা বা পেইনে ভুক্তভোগী কমবেশি সব মানুষ। আবার পুরুষ আর নারীর পেইনের ক্ষেত্রে দেখা যায় পার্থক্য।

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নারীর ক্ষেত্রে পেইন অনেকটা বেশি মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িত, যেটি পুরুষদের ক্ষেত্রে কম। পেইন থেকে রেহাই পেতে পুরুষদের তুলনায় নারীরা অধিক ঘুমের ওষুধ নিয়ে থাকেন।

পেশিবহুল ব্যথায় পুরুষের তুলনায় বেশি ভুক্তভোগী নারীরা। ব্যাকপেইনসহ পুরো শরীরের অন্যান্য ব্যথা যেমন অস্টিওআর্থারাইটিস, ফাইব্রোমায়ালজিয়ায় নারীদের আক্রান্ত করে বেশি।

বয়সের সঙ্গে সঙ্গে পুরুষের তুলনায় নারীরা আরও বেশি ক্রনিক পেইনে ভোগেন। এসব ক্ষেত্রে ম্যাসেজ থেরাপিস্টের পরামর্শ ও সহায়তা নেওয়া উচিত।

যে কাউকে আক্রান্ত করতে পারে মাইগ্রেন। তবে নারীদের ক্ষেত্রে এটি বেশি দেখা দেয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পুরুষের তুলনায় নারীদের ক্ষেত্রে এই ব্যথার হার তিনগুণ বেশি। মূলত ঋতুস্রাবের কারণে নারীদের ক্ষেত্রে মাইগ্রেনের ব্যথা বেশি হয়ে থাকে। মাথাব্যথা ও বমিও পুরুষদের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে নারীদের।

চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ গ্রহণ করাই এই ব্যথা থেকে রেহাই পাওয়ার উত্তম উপায়। জীবনযাপনে পরিবর্তন এনেও মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে নিয়মিত শরীর চর্চা আর পর্যাপ্ত ঘুম সহায়ক।

পেট ব্যথা, পেট ফুলে যাওয়া, গ্যাসের সমস্যা, ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য এসব রোগও পুরুষদের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে নারীদের। আইবিএসে আক্রান্ত নারীরা পুরুষদের তুলনায় বেশি হতাশায় ভোগে, বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ এবং মানসিক স্বাস্থ্যের পরিচর্যা এই ক্ষেত্রে মুক্তি দিতে পারে।