প্রস্বাব যা আমাদের শরীরের একটি বর্জ পদার্থ। আমাদের শরীরের অতিরিক্ত জল ও বিভিন্ন ক্ষতিকারক পদার্থ শরীর থেকে বেড়িয়ে গিয়ে শরীরের জলের সাম্য ও সুস্থতা বজায় রাখে। ল প্রস্বাবের মূল উপাদান হল ইউরিন যা আমাদের শরীর থেকে নির্গত হলে আমরা সুস্থ থাকি। এই প্রস্বাব জনিত অনেক সমস্যা দেখা যায়। যেমন কিডিনির সমস্যা কিংবা ডায়বেটিস হলে তা প্রাস্বাবের উপর প্রভাব ফেলে। যা ডাক্তার দেখালে চিকিত্সা করলে সুস্থ হয়ে ওঠা যায়। কিন্তু আপনারা কি জানেন আমরা যখন প্রস্বাব করি তখন বিশেষ করে পুরুষের দেহে ঝাঁকুনি দিয়ে ওঠে কেন?? এটি কি কোনো খারাপ লক্ষন?? যদি না জানেন তো আসুন জেনে নেওয়া যাক।
আসলে পুরুষের শরীরের পুরুষাঙ্গের দুটি কাজ। একটি হল ইউরিনেশান অর্থাত্ দেহ থেকে ইউরিন বের করে দেওয়া আর একটি কাজ হল জননে সাহায্য করা। তাই এই দুটি কাজ পৃথক করার জন্য প্রস্বাবের রাস্তার মাঝে একটা ইউরেথ্রাল ভাল্ড বা গেট থাকে। যার ফলে প্রস্বাব করা যখন শেষ হয় তখন ওই ভালভ ক্লোজ হয়ে যায়। তাই ইউরেথ্রালে অবশিষ্ট ইউরিনকে দেহের বাইরে বের করার জন্য একটা চাপের প্রয়োজন হয়। যার ফলে একটা খিঁচুনি হয়। প্রস্বাবের বেশ বেশি থাকলে এটা হয়। এটি আসলে আমাদের নার্ভ সিস্টেম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
এই ঝাঁকুনিকে যদি কেউ রোগ হিসাবে ভাবেন কিংবা আপনাকে ভয় দেখায় তো সে ভুল করছে। কারন এটা অটোনমিক নার্ভাস সিস্টেম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। যার নাম “পোষ্ট ইকচুরিশন কনভালশন”। যার কোনো পাশ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। এটা খুব স্বাভাবিক ঘটনা। আর যা গেতু আমাদের শরীরের ভিতরে খুব সেন্সেটিভ তাই প্রস্বানের সময় আমাদের শরীর থেকে কিছু তাপ যখন বেড়িয়ে যায়, তখন এই তাপ পূরনের জন্য শরীর ঝাঁকুনি দেয়। যার ফলে তাপমাত্রা আবার স্বাভাবিক হয়।
এটা যদি আপনার সমস্যা মনে হয় তবে প্রস্বাব করার সময় বসে বসে করুন কিংবা ধীরে ধীরে করুন তাতে এই ঝাঁকুনি আর আসবে না।
TS